অধ্যক্ষ রমনলাল ভোরা। ছবি— সংগৃহীত
বিধানসভার স্পিকারকে ‘কাকা’ বলে সম্বোধন! এই ‘অপরাধে’ চাকরিই খোয়াতে হল হাসপাতালের এক নিরপত্তারক্ষীকে। এমনকী নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুজরাতের গাঁধীনগরের ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত এ মাসের ১৩ তারিখ। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাঁধীনগর সিভিল হাসপাতালে চোখ দেখাতে গিয়েছিলেন গুজরাত বিধানসভার অধ্যক্ষ রমনলাল ভোরা। ট্রমা সেন্টারের ঠিক বাইরে তাঁর গাড়ি পার্ক করা হয়। এক নিরাপত্তারক্ষী এসে নাকি রমনলালকে বলেন, “কাকা, ট্রমা সেন্টারের সামনে গাড়ি রাখবেন না।”
ব্যস, তাতেই চটে যান ভোরা।
আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির ভাঙাই এখন লক্ষ্য অমিতের
মহামান্য অধ্যক্ষকে স্যর না বলে কি না কাকা সম্বোধন! পরে হাসপাতালের সুপার বিপিন নায়েক বলেন, ‘‘রমনলাল ভোরা শুধুমাত্র বিধানসভার অধ্যক্ষ নন, রাজ্যের এক জন প্রবীণ নাগরিকও বটে। তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেননি ওই নিরাপত্তা রক্ষী। অধ্যক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওই নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ এই ‘অপরাধ’-এর জন্য ওই রক্ষীর কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরেই ওই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। শুধু কর্মীকে সরিয়ে দেওয়াই নয়, যে নিরাপত্তা সংস্থা ওই হাসপাতালে কর্মী সরবরাহ করে, তাদের চুক্তিও খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ভিআইপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। ভিআইপিদের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু, তাতে কী, তাঁর দলের নেতারা ভিআইপি স্ট্যাটাস হাতছাড়া করতে মোটেও রাজি নন। অধ্যক্ষ মহাশয়ের এহেন কীর্তি সে কথাই বুঝিয়ে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy