মৃত ছাত্রী হীর ঘেটিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
দশমের বোর্ড পরীক্ষার টপারদের মধ্যে এক জন ছিল সে। পেয়েছিল ৯৯.৭০ শতাংশ। কিন্তু ফলপ্রকাশের চার দিন পরই মৃত্যু হল সেই কিশোরীর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের মোরবীতে।
গত ১১ মে গুজরাতের দশম এবং দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। দশমের বোর্ড পরীক্ষায় যারা প্রথম পাঁচে ছিল, সেই তালিকায় ছিল মোরবীর কিশোরী হীর ঘেটিয়া। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে বুধবার মৃত্যু হয়েছে তার। একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল ঘেটিয়া পরিবার।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষার পরে মস্তিষ্কে হঠাৎ সমস্যা ধরা পড়ে হীরের। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। মাসখানেক আগে রাজকোটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হীরের মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। সুস্থ হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আত্মীয়রা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ করে হীরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে।
হীরকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছিল। মস্তিষ্ক থেকে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য এমআরআই করা হয়। তখন চিকিৎসকেরা দেখেন, হীরের ৮০-৯০ শতাংশ মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় হীরের। একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। হীরের চোখ এবং দেহ দান করেছেন তার বাবা-মা।
হীরের বাবা বলেন, “মেয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ও চলে গেল চিরতরের জন্য। এর স্বপ্ন পূরণ হল না ঠিকই, কিন্তু ওর অঙ্গ দিয়েই অন্যকে জীবনদান করে গেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy