গুরমিত রাম রহিম। ফাইল চিত্র।
ঝাঁচকচকে জীবন থেকে সরাসরি জেলের কুঠুরিতে বন্দি। ক্ষমতার বৃত্তে ঘুরে বেড়ানো থেকে একেবারে বন্দি জীবন! কয়েক দিনে জীবনটাই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান রাম রহিম ইনসানের।
জেলে আসা ইস্তক টানা কেঁদেই চলেছেন তিনি। শুধু কান্নাকাটি নয়, খাবারের একটা দানাও দাঁতে কাটেননি তিনি। খাবার বলতে কয়েক চুমুক দুধ আর বেশ কয়েক ঢোক জল!
আরও পড়ুন
অপহরণের মামলায় রেহাই রামপালের, চলবে খুনের মামলা
সাজা ঘোষণার পর থেকে কারও সঙ্গে কোনও কথাও বলছেন না ‘বাবা’। কোনও হম্বিতম্বি করতেও দেখা যায়নি! জেলের ভিতরে ঢোকার পর থেকে সাজা ঘোষণা— যা বলার তা ওই আদালতেই বলেছেন, ‘ম্যায় বেগুনাহ হুঁ। মুঝে মাফ কর দো।’ রোহতকের ওই জেল থেকে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া এক বন্দি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই রাম রহিমকে বড্ড মন মরা দেখাচ্ছিল। কারও সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘খাবার বলতে শুধু দুধ আর জল খেয়েছেন। আর কিছু না। ওঁকে কারও সঙ্গে কথাও বলতে দেখিনি।’’
কার্টুন: অর্ঘ্য মান্না
আরও পড়ুন
রাম রহিমের সাজা ঘোষণার সময় কী বললেন বিচারক?
গত ২৫ বছর ধরে রাম রহিম ডেরা সচ্চার প্রধান ধর্মগুরু। এত বছরে ‘বাবা’ ছাড়া কোনও ডাকই তিনি শোনেননি। কিন্তু, সাজা ঘোষণার পর থেকে তিনি একটি ‘সংখ্যা’য় পরিণত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে দু’টি ধর্ষণের মামলায় সব মিলিয়ে তাঁর ২০ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা হয়েছে সোমবার। তার পর থেকে জেলের খাতায় তার নামের পাশে লেখা— কয়েদি নম্বর ১৯৯৭। জেলের ভিতরে কর্মীদের আলোচনাতেও নাকি ‘বাবা’কে ‘সংখ্যা’ ধরেই ডাকা হচ্ছে।
অনেকেই মনে করছেন, বিলাস-ব্যসনের জীবন থেকে জেল কুঠুরিতে একাকীত্বের জীবন মেনে নিতে পারছেন না রাম রহিম। তাঁদের মতে, সনাতন ভারত থেকে এ কালের ভারত, রাম রহিম স্রেফ আরও একটি নাম মাত্র। কারণ, অতীতে তাঁর মতো এমন উদাহরণ আরও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy