হাসপাতালটি ১৬ শয্যার। রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামও। প্রতীকী ছবি।
ঝাঁ-চকচকে এক একটি ওয়ার্ড, রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন। রয়েছে রোগীদের জন্য শয্যা, অস্ত্রোপচারের ঘর, কেবিন। সর্বক্ষণ স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চিকিৎসরা। রোগীদের দেখার জন্য ছুটোছুটি করছেন নার্সরাও! একটি হাসপাতালে যা যা থাকার দরকার সব কিছুই রয়েছে। দেখে মনেই হবে না, এটি যে আদৌ কোনও সত্যিকারের হাসপাতাল নয়।
এমনই একটি ভুয়ো হাসপাতালের হদিস মিলল হরিয়ানার গুরুগ্রামে। ১৬ শয্যার হাসপাতাল। প্রাইভেট রুম, ল্যাবরেটরি, শারীরিক পরীক্ষার নানা সরঞ্জাম, একটি আইসিইউ, ওষুধের দোকান, লেবার রুম, এমনকি একটি আপৎকালীন বিভাগও রয়েছে সেখানে। গোটা ভবনটির সাজসজ্জা এবং ধরন দেখে যে কেউই হাসপাতালে ভেবে ভুল করতে পারেন। এবং সেটাই স্বাভাবিক। কারণ সে ভাবেই বানানো হয়েছিল ভুয়ো হাসপাতালটিকে। সেই ভুয়ো হাসপাতালেরই পর্দাফাঁস করল গুরুগ্রাম পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তিনি দশম শ্রেণি পাশ। তিনি নিজেকেই ওই হাসপাতালে মূল চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতেন। গুরুগ্রামের ডেপুটি পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ যাদব জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল যে, ওয়াজিরাবাদে একটি ভুয়ো হাসপাতাল রমরমিয়ে চলছে। হাসপাতালটি চালাচ্ছিলেন হরিয়ানার নুহর বাসিন্দা জুনেইদ এবং উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা প্রিয়া। তিনিও নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আচমকাই ওই হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছিল। জুনেইদ এবং প্রিয়ার কাছে হাসপাতালের লাইসেন্স-সহ জরুরি কাগজপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেননি। তার পরই জুনেইদ, প্রিয়া, সঞ্জয় প্রজাপতি, মোহিত নামে চার ‘চিকিৎসক’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy