Have a look at Meghalaya's singing village Kongthong dgtl
kongthong
শিস দিয়ে সুর করে কথা বলে মেঘালয়ের এই গ্রাম
কখনও পাখির শিস, কখনও বা কিচিরমিচির।কিন্তু তা মানুষের কথোপকথনের মাধ্যম
সংবাদ সংস্থা
শিলংশেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
‘সে যে সুরেরই ভাষা, ছন্দেরই ভাষা।’ কখনও শিস, কখনও বা কিচিরমিচির, আবার কখনও অন্য রকম কিছু সুর। তবে পাখির নয়, এ সুর মানুষেরই। কী ব্যাপার বলুন তো।
০২১৫
মেঘালয়ের কংথং এবং এই এলাকার বেশ কিছু পাহাড়ি গ্রামে আসলে এমনটাই রীতি। পরস্পরকে সুরে সুরে ডাকেন গ্রামের মানুষ।
০৩১৫
এই গ্রামগুলির বৈশিষ্ট্য হল, একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় সুরে সুরেই। মূলত খাসি সম্প্রদায়ের মানুষদের এ এক অদ্ভুত সুন্দর রীতি।
০৪১৫
মায়েরা প্রতিটি সন্তানের জন্য আলাদা আলাদা সুর তৈরি করেন। সেই সুরেই সারা জীবন বাকিরা তাদের ডাকে। প্রত্যেকের নিজের নাম থুরি নিজের সুর রয়েছে।
০৫১৫
ছোট ছোট এই সুর দিয়েই একজনের পরিচয় আরেকজনের থেকে আলাদা। জীবনভর এই সুর তাঁদের সঙ্গী, এটাই তাঁদের পরিচয়।
০৬১৫
বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অক্ষরভিত্তিক নামও আছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের। তবে নিজেদের মধ্যে খুব কমই ব্যবহার করেন সেটা।
০৭১৫
মা তাঁর সন্তানদের আলাদা আলাদা সুরে ডাকেন। দুপুর বা রাতে খাবার খেতে সন্তানদের ডাকতে হলে, সুরের আশ্রয় নেন মায়েরা। আবার সুরে সুরেই এর জবাব দেয় সন্তানেরা। এ ভাবেই সুরে সুরে চলে কথোপকথন।
০৮১৫
মায়েরা ভালবাসার প্রকাশ করতেই সুরে সুরে ডাকেন মূলত। তবে রেগে গেলে কিন্তু পোশাকি নামেই ডাকেন সন্তানদের।
০৯১৫
জঙ্গলে কাজ করার সময় একে-অপরের সঙ্গে সুরে সুরে কথা বলেন এই গ্রামের বাসিন্দারা।
১০১৫
কংথং আধুনিক পৃথিবী অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। ২০০০ সালে সেখানে এসেছে বিদ্যুৎ। রাস্তা তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে। গভীর অরণ্য থেকেই গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের।
১১১৫
বিদ্যুৎ, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের প্রভাবে এখন গ্রামটির সুর ও গানে পরিবর্তন আসছে। আধুনিকতা গ্রাস করায় চিন্তিত গ্রামের পুরনো বাসিন্দারা।
১২১৫
গ্রামের বাসিন্দা সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘‘এই সুর আমি তৈরি করেছি অন্তর থেকে। কারণ সুরের মধ্য দিয়ে সন্তানের জন্য আমার ভালোবাসা ও স্নেহ প্রকাশিত হয়।’’
১৩১৫
মাতৃতান্ত্রিক এই গ্রামে সম্পত্তির অধিকারও সাধারণত মেয়েদেরই। মাকে ঈশ্বর বলে মনে করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ মায়েরা সন্তানকে প্রতিপালন করেন। মা সংসারও সামলান। তাই মায়ের তৈরি সুরেই পরিচয় সন্তানের।
১৪১৫
টিভি ও মোবাইলের ফোনের প্রভাবে এখন গ্রামটির সুর ও গানে পরিবর্তন আসছে। সুপ্রাচীন ঐতিহ্যে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলিউডি সংগীতের। বর্তমান প্রজন্মের অনেক শিশুর সুরেলা নাম নাকি তৈরি হচ্ছে বলিউডি সুরে!
১৫১৫
তবে এখনও প্রায় সবাই, পরিবারের মা-বাবা ও ছেলে মেয়ে থেকে বন্ধুবান্ধব সকলেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজস্ব গানের ভাষায়। এই গ্রামে গিয়ে থাকার ব্যবস্থাও কিন্তু রয়েছে। চাইলে বেড়িয়ে পড়তে পারেন।