আমদাবাদে চিনের প্রেসিডেন্টের সফরের সময়ে পুলিশের নির্দেশে দেশের উত্তর-পূর্বের কর্মীদের কাজে আসতে বারণ করেছিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগকে ঘিরে এখন শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। হোটেল কর্তৃপক্ষ কার কথায় এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন, বা আদৌ এর কোন সত্যতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে গুজরাত পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ দু’তরফেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং গত বুধবার তাঁর তিন দিনের ভারত সফর শুরু করেন আমদাবাদ থেকে। সেখানে একটি পাঁচ তারা হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই দিন হোটেলের উত্তর-পূর্বের কর্মীদের কাজে না আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। চিনফিং-এর সফরের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ জানায় তিব্বতিদের বিভিন্ন সংগঠন। ভারতের উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের চিনারা ভুল করে তিব্বতি ভেবে বসতে পারে, এই ভেবেই নাকি কর্মীদের কাজে আসতে দেওয়া হয়নি। ফলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শুধু ওই হোটেলই নয়, অভিযোগ উঠেছে আমদাবাদের একটি শপিং মলেও নাকি সে দিন উত্তর-পূর্বের সমস্ত কর্মীকে কাজে আসতে বারণ করা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কালকের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ বলেন, “হোটেলের ঘটনাই শুধু নয়, গুজরাত সরকার চিনের সঙ্গে চুক্তিতে ভারতের মানচিত্রে অরুণাচলকে বিতর্কিত এলাকা বলে দেখিয়েছে। এমনকী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজুজু যে হেতু অরুণাচলের বাসিন্দা, তাই কোনও সরকারি বৈঠকে তাঁর স্থান হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy