নিহত ডিজি (কারা) হেমন্তকুমার লোহিয়া। ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের কারারক্ষী বাহিনীর ডিজিপি হেমন্তকুমার লোহিয়াকে খুনের ঘটনায় জঙ্গিযোগের তত্ত্ব খারিজ করল পুলিশ। যদিও ডিজি (কারা) হত্যায় দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদলের ভারতীয় শাখা ‘পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ (পিএএফএফ)।
এই প্রসঙ্গে জম্মুর অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে জঙ্গিযোগের প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় মঙ্গলবার ডিজিপির পরিচারক ইয়াসির আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫৭ বছর বয়সি লোহিয়াকে খুনের ঘটনায় ইয়াসির জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ। ইয়াসির জম্মুর রামবান এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। খুনের পর পরিচারক পালাচ্ছেন, এই দৃশ্য তাতে ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কী কারণে খুন, ইয়াসিরকে জেরা করছে পুলিশ।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার খুনের দায় স্বীকার করে পিএএফএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরে এটা ‘ছোট উপহার’ বলে বর্ণনা করেছে তারা। এই দাবি উড়িয়ে পুলিশের তরফে যা জানানো হল, তাতে এই হত্যাকাণ্ড নয়া মোড় নিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার গলা কাটা অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজি (কারা) হেমন্তকুমার লোহিয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর সরকারি বাসভবন সংস্কারের কাজ চলায় বর্তমানে এক বন্ধুর বাড়িতে সপরিবার থাকছিলেন লোহিয়া। ১৯৯২ ব্যাচের ওই আইপিএস অফিসার গত দু’মাস আগেই কারা বিভাগের ডিজিপি হিসাবে কাজে যোগ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিজিপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে তাঁর গলা কাটা হয় বলে অভিযোগ। দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন ইয়াসির। ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। ওই ডায়েরিটি ইয়াসিরের বলে দাবি করেছে পুলিশ। ডায়েরির বিভিন্ন পাতায় লেখা থেকে পুলিশের ধারণা, ইয়াসির অবসাদগ্রস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy