Advertisement
০২ মে ২০২৪
Himanta Biswa Sarma

রাহুল ‘রাজনৈতিক নিরক্ষর’, জবাবি আক্রমণ হিমন্তের

রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিজোরাম ও উত্তর-পূর্বের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা সব আক্রান্ত হবে।

Himanta Biswa Sarma.

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩৪
Share: Save:

মিজোরামে ভোটের প্রচারে এসে বিজেপির পরিবারতন্ত্র ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাল্টা জবাবে রাহুলকে ‘রাজনৈতিক ভাবে নিরক্ষর’ বলে মন্তব্য করে হিমন্ত বললেন, “রাহুলপরিবারতন্ত্রের সংজ্ঞাই জানেন না, রাজনীতির কোনও জ্ঞানই নেই তাঁর। তাই বিজেপিতে পরিবারতন্ত্র রয়েছে বলে প্রমাণ করার বৃথা চেষ্টায় খামোকা অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংহের ছেলের নাম টেনে এনেছেন।” হিমন্তের ব্যাখ্যা, অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ রাজনীতিতে নেই, তিনি বিসিসিআই কর্তা। তবে কী রাহুল মনে করছেন বিসিসিআইও বিজেপির অংশ? হিমন্ত বলেন, “কংগ্রেসে রাহুল ও তাঁর পরিবারের সকলে মিলে দল চালাচ্ছেন। তাঁরা সরে গেলেই সমস্যা মিটে যাবে।”

রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিজোরাম ও উত্তর-পূর্বের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা সব আক্রান্ত হবে। হিমন্ত বলেন, “বিজেপি শাসনে আসার পরেও মিজোরামের সব গির্জা, ভাষা, সংস্কৃতি একই আছে। অসমে মাজুলির সত্র, ডন বসকোর গির্জা, কামাখ্যা সবই আগের মতো রয়েছে। উত্তর-পূর্ব নিয়ে কিছু না জেনে কথা বললে এমনই হয়।” রাহুল ও কংগ্রেসের দেশপ্রেম নিয়েও প্রশ্ন তুলে হিমন্ত দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভারত জেতার পরে রাহুল বা তাঁর দলের কেউ ভারতকে অভিনন্দন জানিয়ে একটিও টুইট করেননি। তিনি বলেন, “জাতীয় ক্রিকেট দলের জয় তো আর বিজেপির জয় নয়। আমি বলছি না যে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার রাহুলরা দুঃখ পেয়েছেন। কিন্তু যারা ইজরায়েল, প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে এক বারও হামাসের নিন্দা করেনি, ক্রিকেটে ভারতের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেনি— এমন দল ও নেতাদের কাছে দেশবাসীর কোনও আশাই রাখা উচিত নয়।” হিমন্তের দাবি, “কেউ হয়তো রাহুলকে বুঝিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের জয়ের প্রশংসা করলে তেলেঙ্গানায় ভোট মিলবে না!”

এ দিকে রাহুল যখন মিজো শান্তি চুক্তিতে তাঁর বাবা রাজীব গান্ধীর ভূমিকার কথা প্রচারে নিয়ে এসেছেন, তখন মিজো ন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রন্ট দাবি করল, রাজীব গান্ধীর মা ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই ১৯৬৬ সালের ৫ মার্চ ‘মিজো বিপ্লবীদের’ উপরে বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। মিজোদের অভিযোগ, বোমা ফেলা পাইলটদের মধ্যে ছিলেন পরে কংগ্রেসের নেতা ও দেশের মন্ত্রী হওয়া রাজেশ পাইলট ও সুরেশ কালমাদি। ফ্রন্ট বলে, রাহুলের উচিত ছিল ঠাকুমার কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে মিজোদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র লালরেমসাঙ্গি ফানাইও মিজোরামে বোমাবর্ষণের জন্য কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “নিজের দেশের নিরীহ মহিলা-শিশুদের বোমা ফেলে হত্যা করার উদাহরণ শুধু কংগ্রেসেরই রয়েছে। মিজোরা তা ভুলবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Himanta Biswa Sarma Rahul Gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE