প্রতীকী ছবি।
‘অ্যান্টি হ্যাঙিং ডিভাইস’ থাকলে হয়তো তাঁর সন্তান বেঁচে যেত। কিন্তু কেন ওই ডিভাইস ছিল না, এই প্রশ্ন তুলে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুললেন কোটায় আত্মঘাতী পড়ুয়ার মা। বুধবার রাজস্থানের কোটায় হস্টেল থেকে দেহ উদ্ধার হয় বছর সতেরোর শুভম চৌধরীর। তার মৃত্যুর পরই পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসন এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা শুভম। জয়েন্ট এন্ট্রাসের জন্য কোটায় এসে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার হওয়ায় কোটায় শোরগোল পড়ে যায়। বার বার পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসন। পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের মানসিক পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়ার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও আত্মহত্যার ঘটনা লেগেই রয়েছে।
শুভমের মৃত্যুর পর তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রশাসন যে সব পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। হস্টেল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন যদি সতর্ক থাকত তা হলে হয়তো শুভমের এই পরিণতি হত না। শুভমের মায়ের অভিযোগ, হস্টেলগুলিতে ‘অ্যান্ট হ্যাঙিং ডিভাইস’ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুভম যে হস্টেলে ছিল, সেখানে এই ব্যবস্থা ছিল না কেন? শুধু তাই-ই নয়, শুভম সারা রাত না খেয়ে ছিল। ঘর থেকে বেরোয়নি। কেন ওয়ার্ডেন এই বিষয়টি খোঁজ নেননি?
কোটার জেলাশাসক রবীন্দ্র গোস্বামী জানিয়েছেন, আত্মহত্যা রোখার নানা রকম ভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই পরিস্থিতি বদলানো যাবে না। পুলিশপ্রশাসন এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষগুলির পারস্পরিক সহযোগিতায় এই ধরনের ঘটনা আটকানো সম্ভব। তবে হস্টেলে কেন ‘অ্যান্টি হ্যাঙিং ডিভাইস’ লাগানো ছিল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy