বিপিন রাওয়ত। ফাইল চিত্র।
হাতে থাকতেই পারে স্মার্টফোন। তবে তা ব্যবহার করতে হবে সংযমের সঙ্গে। ব্যক্তিগত জীবনেও কোনও রকম উচ্ছৃঙ্খলতাও বরদাস্ত করা হবে না। বাহিনীকে আজ এই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত।
অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হয় যাঁদের, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ভূমিকা কী হতে পারে, সেটাই ছিল আলোচনার বিষয়। দিল্লিতে একটি আলোচনাচক্রে রাওয়তের যুক্তি, সেনার হাত থেকে স্মার্টফোনকে দূরে রাখার ব্যাপারই নেই। বরং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যেতে পারে ছায়াযুদ্ধ, জঙ্গি তৎপরতা আটকাতে। আর সঠিক ভাবে এ কাজ করতে সেনার সদর দফতর নতুন কিছু পদক্ষেপ করতে চাইছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বাহিনীর কাজকর্ম স্পর্শকাতর হওয়ায় জওয়ানদের স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলা হয়। তবে জওয়ান ও অফিসারদের কল্যাণে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ সেনাপ্রধানের ব্যাখ্যা, যাঁদের জন্য অ্যাপ তৈরি হল, তাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না— এটা হয় নাকি! রাওয়ত অবশ্য বুঝিয়ে দেন, স্মার্টফোনের ব্যবহারকেও ‘সঠিক’ হতে হবে।
সেনাবাহিনীর জীবনযাপনে দুর্নীতি ও উচ্ছৃঙ্খলতার যে কোনও জায়গা নেই, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন সেনাপ্রধান। মেজর লিতুল গগৈয়ের প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন। রাওয়ত বলেন, ‘‘বাহিনীতে দুর্নীতি আর লাম্পট্যের কোনও জায়গা নেই। তেমন হলে কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।’’ তিনি জানান, মেজরের ক্ষেত্রে নৈতিক অসচ্চরিত্রতার প্রসঙ্গ সামনে এলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য রকম কিছু হলে, শাস্তিও সেই অনুযায়ী হবে।
কাশ্মীরে পাথর ছোড়া আটকাতে মানব ঢাল ব্যবহার করে শিরোনামে এসেছিলেন মেজর লিতুল। তবে পরে শ্রীনগরের একটি হোটেলে এক মহিলাকে নিয়ে যাওয়ায় বিতর্কে জড়ান তিনি। হোটেলের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মেজরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ‘কোর্ট অব এনক্যোয়ারি’। এ বার সেনা আইনেই তাঁর চূড়ান্ত বিচার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy