প্রতীকী চিত্র
চলতি কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক কৃষকের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ রাখা হয়েছিল মর্গে। সেখানেই দেহ খুবলে খেল ইঁদুর। আন্দোলনস্থলে অসুস্থ হওয়ার পর ৭০ বছরের রাজেন্দ্র সরোহাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্গে দেহ রেখে দেওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পরের দিন যখন দেহ বার করা হয়, তখন দেখা যায়, রক্তাক্ত হয়ে আছে শরীর। পায়ের একটি অংশ নেই, ইঁদুরে খুবলে খেয়েছে। সেই নিয়েই নতুন করে তৈরি হয়ে বিতর্ক।
গ্রামের পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় একটি প্রতিনিধি দল আন্দোলনস্থলে পাঠানো হবে। সেই দলের হয়ে কুনদিল সীমান্তে প্রতিবাদে অংশ নিতে যান রাজেন্দ্র। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, বুধবার হঠাৎ করে আন্দোলনস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার পর সোনিপতের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আনার পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয় দেহ। পরের দিন যখন দেহ বার করা হয়, তখন দেখা যায়, শরীরে একাধিক ক্ষত তৈরি হয়েছে মৃত কৃষকের। তাঁর দেহ রক্তাক্ত, এক অংশের মাংস খুবলে খেয়েছে ইঁদুর।
ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের সুপার। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‘একটি ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত করার জন্য। এই সময়ের মধ্যে যে কর্মীরা হাসপাতালের কাজে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’’
ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলীয় স্তরে বিবৃতি জারি করে হরিয়ানার সরকারকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ‘গত ৭৩ বছরে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি কাউকে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy