চিন সীমান্ত তৈরি হচ্ছে ৬১টি রাস্তা। ফাইল চিত্র।
সীমান্তে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে ‘ড্রাগন’। আর পরিকাঠামো নির্মাণের পথ ধরে তার মোকাবিলার চেষ্টায় নেমেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
দীর্ঘদিনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছেড়ে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর এ বার জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো ও উন্নয়নকাজ শুরু করেছে ভারত। সোমবার সংসদে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্ট। তিনি বলেন, ‘চিন, পাকিস্তান, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ সীমান্তে ৩,৫৯৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে মোট ২০,৭৬৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র চিন সীমান্তে ২,০৮৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৫,৪৭৭ কোটি টাকা।’’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর সাহায্যে পাকিস্তান সীমান্তে ১,৩৩৬ কিলোমিটার রাস্তা বানাতে ৪,২৪২ টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ সিংহের মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৪৬৪৩ কিলোমিটারব্যাপী সীমান্তে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় ৬১টি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বররের মধ্যেই শেষ হবে।’’
বছর সাতেক আগেই চিন সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে মোদী সরকার ‘বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট’ (ডিপিআর) প্রস্তুত করা শুরু করেছিল। যুক্তি ছিল, সীমান্তের ও-পারে চিন যখন তাদের পরিকাঠামোকে অত্যাধুনিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তখন ভারতের পক্ষে পাঁচ দশকের পুরনো নীতি (সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় সীমান্তে সড়ক ও অন্যান্য পরিকাঠামো অনুন্নত রাখা) আঁকড়ে থাকলে চলবে না। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের এলএসি-তে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের ঘটনার পর সীমান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy