বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকের ছবি। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলগুলির তরফে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ নতুন নয়। এ বার বেশ কিছু টিভি সঞ্চালকের বিতর্কের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বুধবার ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিরোধী জোটের মিডিয়া সংক্রান্ত সাব কমিটি। এই কমিটি ওই টিভি চ্যানেল এবং টিভি সঞ্চালকদের নাম চূড়ান্ত করার পরে, সেগুলি প্রকাশ্যে আনা হবে।
এর আগে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশে প্রতিনিধি পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রায় এক মাস এই ‘বয়কটে’র সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। সেই সময় কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রাকে ‘খাটো নজরে’ দেখিয়েছিল সংবাদমাধ্যম, বিশেষত টিভি চ্যানেলের একাংশ। সেই সময় একাধিক ছোট সংবাদমাধ্যম এবং ইউটিউব চ্যানেলকেই জনসংযোগের অবলম্বন হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৯ সালের মে মাসেও কংগ্রেস এক বার এই ‘বয়কটে’র সিদ্ধান্ত নেয়। এ বার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ও একই পথে হাঁটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের দিল্লির বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী জোটের সমন্বয় এবং নির্বাচনী কৌশল সংক্রান্ত কমিটি। সিপিআই, কংগ্রেস, আপ-সহ মোট ১২টি দলের ১২ জন প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এই মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়। কলকাতার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্য বৈঠকে একটি আসন খালি রাখা হয়। ‘ইন্ডিয়া’র যৌথ বিবৃতিতেও অভিষেক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র সমালোচনা করা হয়। ১৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটিতে এখনও প্রতিনিধির নাম জানায়নি সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy