প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে আবার সেই বার্তা- ‘আমাকে দেখে শেখো।’ এবং কৌশলে আবারও সেই বার্তা- ‘বাণিজ্য করতে আমার দেশে আসো।’ দু’টি বার্তাই দিলেন বেশ জোরালো ভাবে, পর্যাপ্ত প্রত্যয়ে। গোয়ায়, ‘ব্রিকস’ দেশগুলির অষ্টম শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার ভারত, চিন, রাশিয়া সহ পাঁচটি দেশের শিল্পপতিদের কাছে। সরাসরি বলেননি এক বারও। কিন্তু গোয়ায় এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই বার্তা বুঝে নিতে কারও অসুবিধা হয়নি।
কেন অসুবিধা হয়নি?
কারণ, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘‘অর্থনৈতিক হাল-হকিকৎ বোঝার প্রায় সবক’টি আন্তর্জাতিক সূচককেই গত দু’বছরে আমরা ঠেলে অনেকটা ওপরে তুলে নিয়ে যেতে পেরেছি। আমরা ভারতকে গোটা বিশ্বে উদার অর্থনীতির এগিয়ে থাকা দেশগুলির অন্যতম করে তুলতে পেরেছি। পেরেছি বৃদ্ধির হারটাকে তরতরিয়ে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে। যাতে সেই হার আরও দ্রুত গতিতে বাড়ে, তারও পদক্ষেপ করেছি।’’
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য থেকে কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, লগ্নি করা, লগ্নির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য গত দু’বছরে ভারত ‘আদর্শ ক্ষেত্র’ হয়ে উঠেছে। এর পরেও বিদেশি লগ্নিকারীরা যাতে দোনামনায় না ভোগেন, তারও চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি সরলতর হয়েছে। লাল ফিতের ফাঁস আলগা হয়েছে। প্রশাসনিক খবরদারিও অনেকটা কমেছে। এটাও বিদেশি লগ্নিকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যথেষ্টই।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘‘লাল ফিতের ফাঁস আলগা করতে, অনুমোদন পাওয়ার জটিলতা দূর করতে গত দু’বছরে আমরা পর্যাপ্ত সংস্কার করেছি। আমরা চাই, ব্রিকস দেশগুলি যে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক গড়ে তুলেছে তাকে সার্বিক ভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সম্মিলিত তৎপরতা আরও বাড়ুক।’’
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দিনের ভাষণে ব্রিকস দেশগুলির বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে খুব কৌশলে ‘আমাকে দেখে শেখো’, এই বার্তাটিও পৌঁছে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেছেন, ‘‘আমরা ভারতে লগ্নির রাস্তাগুলিকে সুগম করে তুলেছি। ব্রিকস দেশগুলির অন্য সদস্যদেরও অনুরোধ করব নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের প্রক্রিয়াটাকে সহজতর করে তুলতে তাঁরা আরও বেশি সক্রিয় হোন।’’
আরও পড়ুন- ভারতের প্রতিবেশী এখন সন্ত্রাসের রাজধানী: চিনের সামনেই আক্রমণে মোদী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy