আশঙ্কা ছিল, নোট নাকচের ধাক্কা আসলে টের পাওয়া যাবে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে। মুখ থুবড়ে পড়বে বৃদ্ধির হার। কিন্তু মঙ্গলবার মোদী সরকারের পরিসংখ্যান দেখাল, কার্যত নোট বাতিলের আঁচই লাগেনি তার গায়ে। কোন ভোজবাজিতে এমনটা সম্ভব হলো, তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা। এমনকী হিসেবের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের অনেকে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বরে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭%। আগের তিন মাসের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) তুলনায় কম হলেও, পূর্বাভাসের থেকে বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অর্থনীতিবিদের কথায়, ‘‘এমন চললে চিনের মতো ভারতের পরিসংখ্যানও আর কেউ বিশ্বাস করবেন না।’’ জে পি মর্গ্যানের অর্থনীতিবিদ সাজ্জিদ চিনয় বলেন, ‘‘পূর্বাভাসের সঙ্গে এ দিনেরটি একেবারে মিলে যাওয়াও বিশ্বাস করা শক্ত।’’ উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে পরিসংখ্যান মন্ত্রকের পূর্বাভাস ছিল, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হবে ৭.১%। কিন্তু নোট বাতিলের প্রভাব ওই হিসেবে ধরা হয়নি। আর এ দিন সেই হিসেব কষেও পূর্বাভাসকে সেই ৭.১% রেখেছে কেন্দ্র। আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘জিডিপি-র পূর্বাভাসে নোট নাকচের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।’’ কিন্তু এই হিসেব কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়েই প্রশ্ন।
নোট বাতিলের পরে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো প্রায় সমস্ত দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছিল। অর্থ মন্ত্রকের সমীক্ষাও বলে, ৬.৫ শতাংশে নামবে ব়ৃদ্ধি। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নোটবন্দির কোনও প্রভাবই পড়েনি? মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ টি সি এ অনন্ত অবশ্য বলেছেন, ‘‘নোট বাতিলের প্রভাব মাপতে আরও তথ্য জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy