দিল্লির পাক দূতাবাসে পাকিস্তান জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশনে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিনিধি পাঠাল না নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে পাক রাষ্ট্রদূত সাদ আহমেদ ওয়ারআইচের পাশে প্রথামাফিক ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না।
বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত খবরে দাবি, এ বছরও পাক হাই কমিশনের তরফে আমন্ত্রণপত্র সাউথ ব্লকে এসেছিল। কিন্তু তাতে যোগদানের বিষয়ে ‘সবুজ সঙ্কেত’ মেলেনি উপর তলা থেকে।
পাক রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতায় কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ‘‘অতীতের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সার্বভৌমত্ব, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আমাদের দু’দেশের জনগণের জন্য আশার ভবিষ্যতের পথে পা রাখতে পারি।’’
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন, ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহৌর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে ওই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করে আসছে পাকিস্তান। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর মার্চের শেষ সপ্তাহের কোনও দিনে দিল্লিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাকিস্তানি হাই কমিশন। সেখানে প্রথা মেনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় বিদেশ মন্ত্রকে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলেই ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাক হাই কমিশন। প্রতিবাদে সে বছর অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল নয়াদিল্লি। ঘটনাটক্রে, সে বছরও লোকসভা ভোটের ঘোষণার পরেই করা হয়েছিল এমন পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy