এই ছবিটিই তুলেছিল ওই ছাত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ক্লাসের মধ্যেই দিব্যি নাক ডেকে ঘুম জুড়ে দিয়েছিলেন অঙ্কের স্যার। গোটা ক্লাস জুড়ে তখন হাসির রোল। চোখের সামনে মাস্টারমশাইয়ের ঘুমনোর ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারেনি দশম শ্রেণির এক ছাত্র। ছবিটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে সে। এখানেই শেষ নয়, ছবিটি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় জেলার শিক্ষা দফতরের এক অফিসারকে। এর জেরে বরখাস্ত হন ওই শিক্ষক। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর খেসারতও গুনতে হল তাকে। পুলিশকে দিয়ে ওই ছাত্রটিকে বেধড়ক মার খাওয়ালেন তাঁরই স্কুলের শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি উঠে যাচ্ছে মার্চর মধ্যে
শনিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে তেলঙ্গানার মেহবুবনগরের মিদজিলের জেলা পরিষদ হাই স্কুলে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুলাই অঙ্ক শিক্ষক কে রামুলু’র ঘুমনোর ছবি তুলে শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছিল ওই ছাত্র। ছবিটি দেখে পরের দিনই ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেন মেহবুবনগর জেলার শিক্ষা দফতর। এর পরেই খেপে ওঠেন স্কুলের বাকি শিক্ষকরা। যোগযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। অভিযোগ, শনিবার স্কুলের মাঠে একটি পোস্টের সঙ্গে ওই ছাত্রকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় থানার সাব ইন্সপেক্টর এস এল সইদুলু এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জাহাঙ্গির। তাঁর শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ ওই দুই পুলিশ। মেহবুবনগরের এসপি রেমা রাজেশ্বরীর বক্তব্য, ওই ছাত্র কয়েকজনের সঙ্গে স্কুল চত্বরে বসে মদ্যপান করছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এমন অভিযোগ আসায় ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে পুলিশ গিয়েছিল। তবে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ স্ত্রীকে গোপন করে ষষ্ঠ বিয়ে সারতে গিয়ে গ্রেফতার যুবক!
কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাত্রকে প্রহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এরই সঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বহিষ্কারের দাবিও জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy