কলেজের অন্যান্য সহকর্মীদের নজরে পড়ায় তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বিমুক্তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষার মার্কশিট হাতে পেতে দেরি হচ্ছে। তাই নিজের কলেজের অধ্যক্ষার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন ২৪ বছর বয়সি আশুতোষ শ্রীবাস্তব। সোমবার ইনদওরের সিমরোল এলাকার কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অধ্যক্ষা বিমুক্তা শর্মাকে। কিন্তু শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কারণে আর মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে পারলেন না বিমুক্তা। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার কলেজ থেকে বেরিয়ে বাড়ি যাবেন নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিমুক্তা। সেই মুহূর্তে আশুতোষ অধ্যক্ষার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
পিটিআই সূত্রে খবর, বিএম ফার্মেসি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন আশুতোষ। মার্কশিট দিতে দেরি হওয়ার কারণে রাগের মাথায় অধ্যক্ষাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েচিলেন বলে তিনি নিজেই দাবি করেছেন। কলেজের অন্যান্য সহকর্মীদের নজরে পড়ায় তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বিমুক্তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিমুক্তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিমুক্তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শনিবার ভোরে মারা যান তিনি।
এর আগেও নাকি, বিমুক্তাকে ভয় দেখিয়ে নানা রকম মেসেজ করতেন আশুতোষ। কয়েক মাস আগে কলেজের এক শিক্ষকের উপর হামলা করার অভিযোগে আশুতোষকে আটক করা হয়েছিল। তবে, কিছু দিন পর তাঁকে জামিনে ছেড়েও দেওয়া হয়। পিটিআই সূত্রে খবর, তদন্ত চলাকালীন কাজে অবহেলা দেখানোর কারণে পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিক ভগবত সিংহ বির্দে পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আশুতোষের বিরুদ্ধে দু’তিন বার অভিযোগ এসেছে। আশুতোষ আত্মহত্যার ভয়ও দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজের কয়েক জন শিক্ষক।’’ বিমু্ক্তার গায়ে পেট্রল ঢালতে গিয়ে আশুতোষের শরীরেরও একাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। শুক্রবার আশুতোষকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে এক দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy