জি২০ বৈঠকের আগে ঢেলে সাজছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা। ফাইল চিত্র।
প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পুঞ্চের ভিম্বারে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা। জি২০ বৈঠকের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তাই চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্রের। মিলেছে জঙ্গি হামলার ছক নিয়ে নানা রিপোর্টও। নাশকতার মোকাবিলায় তাই গড়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী।
আগামী ২২-২৪ মে শ্রীনগরে জি২০-র পর্যটন সংক্রান্ত কার্যকরী গোষ্ঠীর বৈঠক হওয়ার কথা। ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা পরিকল্পিত ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি বাধাতে চাইছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বাছাই করা ৬০০ জন কর্মী এবং আধিকারিককে জঙ্গি মোকাবিলার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জম্মুর উধমপুরের শের-ই-কাশ্মীর পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ৬০০ পুলিশকর্মীর বিশেষ প্রশিক্ষণপর্ব। মূলত নজরদারির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অতর্কিতে হামলা ঠেকানোর তালিম দেওয়া হচ্ছে ওই পুলিশকর্মীদের। ওই সূত্র জানাচ্ছে, জি২০ বৈঠকের সময় নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সাধারণ পোশাকে ডিউটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ভিম্বারের জঙ্গি হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তার কৌশল বদলানোর অন্যতম পদক্ষেপ হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরে হওয়া আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এ বার সেখানেই জি২০ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে ভারত। সম্ভবত নয়াদিল্লির এই কৌশল আঁচ করেই কাশ্মীরে জি২০ আয়োজনের বিরোধিতা করেছিল পাকিস্তান। দোসর হয়েছিল চিনও। কিন্তু সম্প্রতি ইসলামাবাদ-বেজিংয়ের সেই আপত্তি খারিজ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সেখানে যে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চের বৈঠক হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy