নিজের দলেই প্রশ্নের মুখে। ছবি: পিটিআই।
আম আদমি পার্টি কি ভাঙনের মুখে? দলের মধ্যেই কি বিদ্রোহের মুখে অরবিন্দ কেজরীবাল?
আর এই দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে আপের শীর্ষ নেতা তথা কবি কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এনেছেন আপের আর এক নেতা আমানতুল্লা খান। তাঁর অভিযোগ, দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে কেজরীবালকে দলের শীর্ষ পদ থেকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করছেন কুমার। এমনকী অনেকে চাইছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন মণীশ সিসৌদিয়া। দলের এই ভাঙন সামলাতে আজ সন্ধ্যায় দলীয় বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল।
গোয়া-পঞ্জাবের পরে দিল্লি পুরভোটে হার। একটার পর একটা হারে কেজরীবাল তথা আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আপ শিবিরের খবর, দলের একাংশ কেজরীবালের নেতৃত্বে ক্ষুব্ধ। দিল্লিতে সরকার চালানোয় কেজরীবালের গাফিলতির কারণেই দিল্লি পুরভোটে দল পর্যুদস্ত হয়েছে বলেই মনে করছে আপ শিবিরের একাংশ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, দলের অর্ধেকের বেশি বিধায়ক প্রকাশ্যে না হলেও, দলের ভিতরে কেজরীবালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে প্রস্তুত। এমনকী অনেকে মণীশ সিসৌদিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছেন। চাপ বাড়ছে কেজরীবালের উপরে। যাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দলের ৬৬ জন বিধায়কের মধ্যে ৩৫ জন কেজরীবালের উপর ক্ষুব্ধ। আমানতুল্লার অভিযোগ, বিক্ষুধ্ব বিধায়কদের পিছন থেকে হাওয়া দিচ্ছেন কুমার। তাঁর লক্ষ্য দলে বিদ্রোহ ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করা। কেজরীবালকে দলের শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াটাই প্রধান লক্ষ্য কুমারের। আমানতুল্লার আরও অভিযোগ, দলে বিদ্রোহ ঘটনোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে কুমার আপ ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক কথাবার্তাও বলে রেখেছেন।
আরও খবর: কাশ্মীরে পাঁচ পুলিশ খুন করে ৫০ লক্ষ লুঠ করল জঙ্গিরা
কিছু দিন আগেই প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছিলেন কুমার। আবার দিল্লি পুরভোটে হারার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে দলের নেতৃত্বে সামগ্রিক পরিবর্তনের ডাকও দিয়ে রেখেছেন তিনি। ফলে কিছু দিন ধরেই কুমার যে বেসুরো বাজছেন, তা বুঝতে পারছেন কেজরীবাল। তাই আজ কুমারকে তিনি যতই নিজের ছোট ভাই বলুন না কেন, দলের মধ্যে সব কিছু যে ঠিক নেই, তা বুঝতে পারছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাই মতপার্থক্য দূর করতে বিশ্বস্ত মণীশকে কুমারের বাড়িতে পাঠান কেজরী। তার আগে বিদ্রোহ রুখতে দলের কৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে মণীশের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দু’ঘন্টা বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে আজ সন্ধ্যায় বিধায়ক দলের বৈঠক করেন কেজরীবাল। মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি। যে ভাবে দলের ভিতরের খবর বাইরে চলে যাচ্ছে তাতে ক্ষোভ জানান। সূত্রের খবর, বৈঠকে কুমার ও আমানতুল্লাকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে কেজরীবাল জানান, ক্রমাগত হারের ফলে দলের মনোবল ভেঙে গিয়েছে, এই অনুমান করে আপ শিবিরকে ভাঙতে তৎপর বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দলের সব নেতাকে একজোট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেজরীবাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy