—ফাইল চিত্র।
কয়েকটা তিলকুটের প্যাকেট, দুই টিফিন বাক্স ভর্তি দই চিঁড়ে আর কিছু পিঠে পুলি। মকর সংক্রান্তির দিন সাত সকালেই লালুপ্রসাদের জন্য রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেলে এই সব খাবার এনেছিলেন তাঁর কয়েক জন অনুগামী। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করেও অবশ্য চিঁড়ে ভিজল না। দই চিঁড়ে, তিলকুট আর পিঠে পুলি কিছুই পৌঁছল না জেলের অন্দরে।
গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে লালুর ঠিকানা রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেল। প্রিয় নেতাজির সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর অনুগামীরা তার পর থেকে প্রায় রোজই ভিড় করেন জেলের ফটকে। সঙ্গে খাবারও নিয়ে আসেন কেউ কেউ। তবে কখনওই রান্না করা খাবার জেলের ভিতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি। লালুর অনুগামীরা ভেবেছিলেন আজ মকর সংক্রান্তি বলে কর্তৃপক্ষ হয়তো ছাড় দেবেন। প্রতি বারের মতো এ বারও লালুকে তাঁর প্রিয় দই চিঁড়ে খাওয়াতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু হতাশই হতে হয়েছে তাঁদের।
পটনা থেকে অবিনাশ যাদব নিয়ে এসেছিলেন স্পেশ্যাল তিলকুটের প্যাকেট। অবিনাশবাবু বললেন, ‘‘এই তিলকুট লালুজির খুব প্রিয়। প্রতিবারই আমি মকর সংক্রান্তির দিন ওঁর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি। এ বারই পারলাম না।’’ রাঁচীর এক আরজেডি সমর্থক এসেছিলেন দই চিঁড়ে আর পিঠে নিয়ে। বললেন, ‘‘সংক্রান্তির উৎসবটাই তো ফিকে হয়ে গেল। কিছুই নেতাজির কাছে পৌঁছে দিতে পারলাম না।’’
কয়দিদের নিরাপত্তার কারণেই জেলের বাইরের কোনও খাবার ভেতরে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেল সুপার অশোক চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রান্না করা কোনও বাইরের খাবার জেলের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিই না। মকর সংক্রান্তি বলে কেন তার ব্যতিক্রম হবে?’’ তবে এই দিনটাতে লালুকে তাঁর প্রিয় দই চিঁড়ে থেকে বঞ্চিত করবেন না বিরসা মুণ্ডা জেল কর্তৃপক্ষ। সুপার বলেন, ‘‘জেলের ভিতরে সংক্রান্তি পালন হচ্ছে। বিশেষ খাওয়া দাওয়াও হচ্ছে। দই চিঁড়ে বানানো হয়েছে। জেলের কয়েক জন কয়েদি তৈরি করেছেন তিলকুট। লালু-সহ সব কয়েদিকে তিলকুট, দই চিঁড়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy