পুড়ছে মোটরবাইক। ছবি: সংগ্রহ।
সপ্তাহব্যাপী মোটের উপর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সোমবার অগ্নিগর্ভ পরস্থিতিতে পরিণত হল। তামিলনাড়ুর মেরিনা সৈকতে আন্দোলনকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ২০টি মোটরবাইকে। পরে লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ঘটনায় ১০ জন আন্দোলনকারী এবং ২০ জন পুলিশ কর্মী জখন হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
টানা তিন বছর বন্ধ থাকার পর আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদে গত শনিবারই জাল্লিকাট্টুতে ছাড়পত্র পায় তামিলনাড়ু। রবিবার থেকেই রাজ্যের অনেক জায়গাতেই ষাঁড়কে বাগে আনার এই লড়াই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈতক থেকে আন্দোলনকারীদের হঠানো যাচ্ছিল না। জাল্লিকাট্টুর স্থায়ী ব্যবস্থা করার দাবিতে মেরিনা সৈকতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছিল। সোমবার সকালে পুলিশের একটি দল আন্দোলনকারীদের উচ্ছেদ করে মেরিনা সৈকত খালি করতে যায়। তখনই পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, আর কোনও লোক যাতে সেখানে জড়ো হতে না পারে তার জন্য এ দিন ভোর থেকেই মেরিনা সৈকতে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়। তাতেই ক্ষেপে যান আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তাঁরা। ব্যারিকেডের বাইরে কয়েকশো আন্দোলনকারী মানববন্ধন গড়ে তোলেন। মেরিনা সৈকতে যেতে না দিলে তাঁরা তখনই সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। এর পর ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পাথর ছুড়তে শুরু করেন। মেরিনা সৈকতের কাছে আইস হাউস পুলিশ স্টেশনের বাইরে পার্কিংয়ে রাখা ৩০টি মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। শেষ লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের পিছু হঠায় পুলিশ। এখনও মেরিনা সৈকত ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
গতকালই জাল্লিকাট্টু শুরুর প্রথম দিনেই তিন জনের মৃত্য হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন ষাঁড়ের গুঁতোয়। তৃতীয় জন মাদুরাই সিটিতে বিক্ষোভে যোগ দিতে গিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy