কার্ফু শিথিল হতেই খাদ্যসামগ্রী মজুত করতে তত্পর মানুষ। জামশেদপুরে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে জামশেদপুর।
আজ মানগো ছাড়া শহরের অন্য এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়। মানগোর চারটি থানা এলাকায় প্রথমে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা ও পরে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়।
এ দিনও শহরে কোনও ঝামেলার খবর মেলেনি। রাজ্য পুলিশের এডিজি সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, ‘‘এক বারে পুরো শহরে কার্ফু শিথিল করা হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধীরে ধীরে কার্ফু শিথিল হবে।’’
এ দিকে এ দিন সকাল থেকেই জামশেদপুরের রাস্তায় সিআরপি ও জেলা পুলিশ টহল শুরু করে। এসএসপি অনুপ টি ম্যাথিউ বলেন, ‘‘শুধু রাস্তাঘাটই নয়, নজর রাখা হচ্ছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সোশাল নেটওয়ার্কগুলিতেও। জামশেদপুরে গণ্ডগোল নিয়ে কেউ প্ররোচনামূলক মন্তব্য করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ দিন শহরের অধিকাংশ দোকান ছিল বন্ধ। মানগো এলাকার এক দোকানদার বলেন, ‘‘যেভাবে পাশের দোকানগুলিতে আগুন লাগাতে দেখলাম তার পর এখন কোন সাহসে দোকান খুলব?’’
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারও শহরের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে। কার্ফু শিথিল হতেই বাজারে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ।
এ দিন টাটানগর স্টেশন থেকে শহরে আসার গাড়ি অবশ্য পাওয়া গিয়েছে। তবে মানগো এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস ছাড়েনি।
ইদ আর রথযাত্রায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। সে সব মেলাও কার্ফুতে বন্ধ। মানগোর গাঁধী ময়দানে ইদের মেলা না বসায় মন খারাপ খুদেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy