Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রাজনীতির পথে শান্তি খোঁজার ডাক কাশ্মীরে

জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে কী ভাবে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের মানুষের কাছ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তা-ও বারবার দেখিয়েছেন কাক। আলোচনাসভায় উপস্থিত সকলেই একবাক্যে মানলেন, সামরিক পেশি প্রদর্শন দিয়ে কাশ্মীরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজনৈতিক পথেই এর সমাধান খুঁজতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০২:৫০
Share: Save:

কখনও বন্দুক, কখনও পাথর। কখনও আবার কোনও তরুণের গান। কাশ্মীরের ‘আজাদি’-র দাবির প্রকাশ হচ্ছে নানা রূপে। পরিচালক সঞ্জয় কাক সেই রূপকে ধরতে চেয়েছেন ‘জশন-ই-আজাদি’ তথ্যচিত্রের পরতে পরতে।

রবিবার কলকাতায় এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনকারী সংগঠনের উদ্যোগে সেই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পরে আলোচনাসভায় উঠে এল কিছু প্রশ্ন। কাশ্মীরের আপাত শান্তি কি আসলে শান্তি? কেবল পর্যটকেরা নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারলেই কি কাশ্মীর ভারতের মূলস্রোতের সঙ্গে মিলে যায়? সঞ্জয় কাকের ক্যামেরায় ধরা প়ড়া কাশ্মীরের নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা তাঁদের ‘আজাদি’র ভাবনাকে আর আটকে রাখতে চাইছেন না ভারত-পাকিস্তানের গণ্ডিতেও। ১৯৩০-এর দশকে ডোগরা রাজাদের আমলেও আম কাশ্মীরি পরাধীনই ছিলেন বলে মনে করাচ্ছেন তাঁরা। বরং দেশভাগের পরে কাশ্মীরে ভূমি সংস্কার শুরু হওয়ায় আম কাশ্মীরি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন বলে তথ্যচিত্রের গোড়ায় মেনে নিয়েছেন কাক। কিন্তু ক্রমে উবে গিয়েছে সেই স্বস্তি। ভারতের প্রতি বিশ্বাস বদলে গিয়েছে অবিশ্বাসে। যার জেরে শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ। কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য সেনাবাহিনী তথা ভারত সরকারের চেষ্টার চিত্রও রয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। কিন্তু সমস্যার প্রকৃতি যেমন তাতে ওই চেষ্টায় যে বিশেষ কাজ হবে না তা মানলেন আলোচনাসভায় উপস্থিত দর্শকদের প্রায় সকলেই। পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ রয়েছেই। কিন্তু উপত্যকার মানুষের দিল্লির প্রতি গভীর অবিশ্বাসকে উপযুক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও সাফ জানালেন অনেকেই।

জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে কী ভাবে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের মানুষের কাছ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তা-ও বারবার দেখিয়েছেন কাক। আলোচনাসভায় উপস্থিত সকলেই একবাক্যে মানলেন, সামরিক পেশি প্রদর্শন দিয়ে কাশ্মীরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজনৈতিক পথেই এর সমাধান খুঁজতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE