বিজেপি শাসিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর তাঁর দলীয় সতীর্থদের একাংশের উল্টো পথে হেঁটে জানালেন, সেন্সর বোর্ড সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরে তাঁর রাজ্যে ‘পদ্মাবত’-এর মুক্তিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ছবি নিয়ে রাজপুত করণী সেনার বিষোদ্গারে কোনও বদল হল না। আজ দিল্লিতে এই সংগঠনের নেতা লোকেন্দ্র সিংহ কালভি জানিয়ে দিলেন, দেশ জুড়ে ছবিটিকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। তা না হলে যে সমস্ত সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাবে, সেখানে ‘জনতা কার্ফু’ জারি করা হবে।
কালভি আজ বলেন, ‘‘ছবিটাকে ক্যানবন্দি করে জহরব্রতের আগুনে ছুড়ে ফেলতে হবে। আমরা শুনেছি, ২৫ জানুয়ারি ছবি মুক্তি পাবে। সত্যিই যদি তা হয়, আমরা রাস্তায় নামব আর আমাদের যুব সম্প্রদায়কে বলব, তারা যেন সিনেমা হলগুলোতে ‘জনতা কার্ফু’ চালু করে।’’ যেখানে ছবিটি মুক্তি পাবে, করণী সেনার সমর্থকেরা সেখানে গিয়ে সিনেমা হল বন্ধ করে দেবে— ‘জনতা কার্ফু’ বলতে কালভি এমনটাই বুঝিয়েছেন বলে অনেকের মত। কালভি অবশ্য দেশবাসীকে ‘অনুরোধ’ও করেছেন, তাঁরা যেন ছবিটি না দেখেন। ছবির নাম ‘পদ্মাবতী’ থেকে ‘পদ্মাবত’ করা এবং সেই সঙ্গে আরও চারটি পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। সেই মতো বদলের পরে ছবিটিকে ‘ইউ/এ’ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে বলে সেন্সর প্রধান প্রসূন জোশী জানিয়েছিলেন। কিন্তু করণী সেনার এখনও দাবি, ইতিহাসকে বিকৃত করেছে দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবিটি। কাজেই সমঝোতার কোনও প্রশ্ন নেই।
রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহানের মতো বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা আগেই বলেছেন, তাঁদের রাজ্যে মুক্তি পাবে না ছবিটি। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকর সেখানে ব্যতিক্রম। তিনি আজ বলেছেন, ‘‘এখন পর্যটনের মরসুম নয়। তাই পুলিশের ওপরে চাপ কম। ছবির মুক্তি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy