পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছাড়ার আবেদন ছবি— পিটিআই।
কাশ্মীরে বসবাসকারী সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতকে উপত্যকা ছাড়ার আবেদন করল তাদের সংগঠন। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি (কেপিএসএস) জানিয়েছে, বার বার জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্য হচ্ছেন পণ্ডিতরা। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় থাকা আর আত্মহত্যা করা একই ব্যাপার। তাই সুরক্ষিত স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান।
মঙ্গলবার সকালে সোপিয়ানের চিৎপোরা এলাকায় একটি আপেল বাগানে ঢুকে জঙ্গিরা এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের উপর হামলা করে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর আহত হন তাঁর এক আত্মীয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই কেপিএসএসের প্রধান সঞ্জয় টিক্কু কাশ্মীর উপত্যকায় বসবাসকারী পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা আবেদন জানান।
সঞ্জয় বলেন, ‘‘যথেষ্ট হয়েছে। আমরা এই জিনিস গত ৩২ বছর ধরে দেখছি। সরকার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আর কত দিন আমরা এ ভাবে মৃত্যুর দিকে চেয়ে থাকব!’’ দিল্লি বা জম্মুর কোনও নিরাপদ জায়গায় সবাইকে চলে যাওয়ার আবেদন রেখেছেন তিনি।
এখানেই থামেননি সঞ্জয়। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গিদের নিশানা যে কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই, তা এত দিনে সবার কাছেই পরিষ্কার। কেপিএসএসের প্রধানের প্রশ্ন, ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের দিন কেন জঙ্গিরা হামলা করে না বলতে পারেন? কোন জাদুতে কাশ্মীরে পর্যটকরা নিরাপদ অথচ সেখানকার সংখ্যালঘু পণ্ডিতরা মারা যাচ্ছেন! জঙ্গিদের নিশানা যে কেবল আমরা, এটা কি সরকার বোঝে না? এ কথা বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করতে পারে, গ্রেফতারও করতে পারে। আমার ভয় লাগছে না।’’
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীর থেকে উচ্ছেদ হওয়া পণ্ডিতদের আবার স্বগৃহে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবি নিয়েও দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু জঙ্গি হামলায় তার কোনও প্রভাব পড়েনি। হামলা চলছে মাঝেমাঝেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy