ফাইল চিত্র।
সনিয়া গাঁধী বলেছিলেন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের চিঠিতে তিনি আহত হলেও মনে কারও প্রতি বিদ্বেষ রাখছেন না। সনিয়া এ কথা বললেও সংগঠন চাঙ্গা করার দাবি তোলা নেতারা মনে করছেন, দলে তাঁদের কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রথমে মহারাষ্ট্রে পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, মুকুল ওয়াসনিক, মিলিন্দ দেওরা স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তারপর উত্তরপ্রদেশে জিতিন প্রসাদকে নিশানা করা হয়। এ বার কেরলে শশী তারুর আক্রমণের মুখে। এঁরা প্রত্যেকেই সনিয়ার কাছে সক্রিয় নেতৃত্ব ও ওয়ার্কিং কমিটিতে নির্বাচনের দাবি তুলে চিঠি লিখেছিলেন।
আজ তারুরকে ‘কংগ্রেসে অতিথি শিল্পী’ বলে সমালোচনা করেছেন কেরলের সাংসদ, লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক কে সুরেশ। পরে দলের প্রবীণ নেতাদের চাপে তিনি মন্তব্য প্রত্যাহার করলেও বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে গাঁধী পরিবারের অনুগামীদের সংঘাত ফুটে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সংসদীয় কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য কংগ্রেস যে ১০ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে, সেখানেও দুই বিক্ষুব্ধ গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মার গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা রয়েছে বলে কংগ্রেস নেতাদের মত। আজাদ ও শর্মা রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ও উপ-দলনেতা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আহমেদ পটেল ও রাজ্যসভায় নতুন পা রাখা কে সি বেণুগোপালকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। আজাদের রাজ্যসভার মেয়াদ আগামী বছরের গোড়ায় শেষ হবে। পরের বছর
আনন্দ শর্মার মেয়াদ ফুরোবে। তার পরে কেউই আর রাজ্যসভায় ফিরবেন না বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন।
আজাদ যুক্তি দিয়েছেন, তাঁরা চিঠিতে সাংগঠনিক নির্বাচন চেয়ে কোনও ভুল করেননি। তাঁর মতে দলে নির্বাচন না হলে আরও ৫০ বছর কংগ্রেসকে বিরোধী আসনে বসতে হবে। ২৩ জনের সই করা ওই চিঠি লেখার পরিকল্পনা শশী তারুরের বাড়ির এক নৈশভোজে হয়েছিল। আজ সুরেশ বলেন, “তারুর রাজনীতিক নন। উনি ২০০৯-এ অতিথি শিল্পী হিসেবে এসেছিলেন। এখনও তা-ই আছেন। নিজের কাজে প্রমাণ করেছেন, উনি রাজনৈতিক ভাবে অনভিজ্ঞ।” এর আগে কেরলের অন্য কংগ্রেস নেতারাও তারুরের সমালোচনা করেছিলেন। আজ অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তরুণ নেতাদের অনেকে তারুরের প্রশংসাও করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy