জল নামতেই কেরলের একটি সেতুর এই হাল। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।
পাহাড়, জঙ্গল ভেদ করে গর্জন করতে-করতে বয়ে যাচ্ছে জলস্রোত। তার পরেই বিকট শব্দ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে শুরু করল কাদা-মাটির ধস। নিমেষে সাফ গাছের সারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কান্নুরের এই দৃশ্য। ‘ওয়েস্টার্ন ঘাটস ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল’-এর প্রধান মাধব গ্যাডগিলের দাবি, এটা হওয়ারই ছিল। মানুষই এর কারণ। পর্যটন-ব্যবসার বাড়বৃদ্ধির সঙ্গে নদী উপত্যকায় বেআইনি নির্মাণ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। পাহাড় কেটে পাথর সরানো তো রয়েইছে।
গ্যাডগিলের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে গোয়াকেও একই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বিচারপতি এম বি শাহের কমিশন আগেই জানায়, বেআইনি খনন থেকে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা হয়।’’ ২০১১-তেই গ্যাডগিলরাও বলেছিলেন, কেরলের বিস্তীর্ণ অংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও সে সময়ে রাজ্য সরকার ওই রিপোর্ট নস্যাৎ করে দেয় বলে অভিযোগ। গ্যাডগিল বলেন, ‘‘বৃষ্টি অবশ্যই স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু একে নজিরবিহীন বলা যায় না।’’ পর্যটক টানতে যে ভাবে জলা জায়গা বুজিয়ে কিংবা নদী উপত্যকায় একের পর এক বাড়ি তৈরি হয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় খননকাজ চলেছে, এই বন্যা তারই প্রতিচ্ছবি। গ্যাডগিল বলেন, ‘‘তেমন হলে আমাদের রিপোর্টও মনে রাখতে হবে না। শুধু আইনের পথে চলুক প্রশাসন। রিপোর্টের সুপারিশ, তাতেই কার্যকর হবে।’’
আরও পড়ুন: কেরলের বন্যা মানুষের তৈরি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy