প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আঙুলের সমস্যা হচ্ছিল বছর চারেকের এক শিশুর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তবে সেই অস্ত্রোপচার খুবই ছোট ধরনের হবে। এ কথা শুনে শিশুর পরিবার অস্ত্রোপচার করাতে রাজি হয়ে যায়। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল।
অস্ত্রোপচারের পর শিশুটিকে যখন তার পরিবার দেখতে যায়, তখন তারা দেখে হাতে কোনও অস্ত্রোপচারই হয়নি। বরং তারা দেখে, শিশুটির মুখে ব্যান্ডেজ করা! শিশুটিকে এ রকম অবস্থায় দেখে ঘাবড়ে যায় তার আত্মীয়েরা। কোথাও একটা গন্ডগোল হয়েছে আঁচ করে শিশুটির বিষয়ে হাসপাতালেরই এক নার্সকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, নার্সকে বিষয়টি বলতে তিনি হেসে উড়িয়ে দেন।
শিশুটির পরিবারের আরও দাবি, পরে তাদের আরও জানানো হয়ে যে, শিশুটির জিভেও একটি সমস্যা ছিল। তারই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এ কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যান শিশুর বাবা-মা। তাঁদের দাবি, কন্যার জিভে কোনও সমস্যাই ছিল না। এই প্রথম তাঁরা সমস্যার কথা জানতে পারলেন। শিশুটির এক আত্মীয় বলেন, “আমরা যখন নার্সকে বিষয়টি জানাই, তিনি হেসে ফেলেন। তার পর আমাদের জানানো হয়, শিশুটির জিভেও সমস্যা ছিল। সেটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি যখন হাসপাতালে জানাজানি হয়ে যায়, চিকিৎসক এসে শিশুর পরিবারের কাছে ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। পরে শিশুটির হাতের অস্ত্রোপচার করা হয়। ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে, শিশুটির হাতে ৬টি আঙুল ছিল। সেটিরই অস্ত্রোপচার করাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy