কেরল হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
আবার মন্দির-বিতর্ক কেরলে। পথনমথিট্টার শবরীমালার পরে এ বার কোল্লম জেলার মুথুপিলাক্কাড়ুতে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বামশাসিত কেরলের পুলিশ এবং সেখানকার শ্রী পার্থসারথি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে মন্দির চত্বর এবং আশপাশে গেরুয়া পতাকা টাঙানোর উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। যদিও এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে কেরল হাই কোর্ট।
কেরল পুলিশ এবং মন্দির পরিচালন সমিতির ফরমানের বিরুদ্ধে ভক্তদের একাংশের তরফে কেরল হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি রাজা বিজয়রাঘবন বৃহস্পতিবার সরাসরি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন, পূজার্চনা বা দৈনন্দিন ধর্মীয় আচারের সঙ্গে মন্দির এবং তার আশপাশে গেরুয়া পতাকা টাঙানোর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। শ্রী পার্থসারথি মন্দিরে গেরুয়া পতাকা টাঙানোর দাবিতে আবেদনকারী পক্ষের ‘সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য’ রয়েছে বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি বিজয়রাঘবন।
মন্দির চত্বর এবং আশপাশে গেরুয়া পতাকা টাঙানোর জন্য পুলিশি নিরাপত্তার যে আবেদন জানানো হয়েছিল, তা-ও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। ওই মামলায় সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, আবেদনকারীরা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা মন্দিরকে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র’ বানাতে চাইছেন। গেরুয়া পতাকা টাঙানোর অনুমতি দিলে মন্দির-সহ গোটা এলাকার শান্তি এবং পবিত্রতা নষ্ট হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। সেই যুক্তি মেনে নিয়েছে কেরল হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল আদালতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy