কাজের ফাঁকে। ডিব্রুগড়ের একটি চা বাগানে। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সমান হারে বরাকের চা শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার দাবিতে এই উপত্যকার শতাধিক চা বাগানে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
২৪ অগস্ট থেকে প্রথম পর্যায়ের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তা চলবে ২৯ অগস্ট পর্যন্ত। বরাকের চা শ্রমিকদের অভিযোগ, একই পরিশ্রম করলেও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার শ্রমিকদের তুলনায় তাঁদের মজুরি কম। কৈয়া চা বাগান পঞ্চায়েতের সম্পাদক রাজকিশোর কৈরি এবং লালামুখ চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রেমলাল রী জানান, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার চা শ্রমিকরা দৈনিক ১২৫ টাকা মজুরি পান। বরাকের শ্রমিকরা পান ৭৫ টাকা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের মতবিরোধ চলছে।
চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে ভারতীয় চা সংস্থার (টিএআই) আধিকারিকদের সঙ্গে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে দুই উপত্যকার শ্রমিকদের সমান হারে মজুরি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।
বরাক উপত্যকার ১২৪টি চা বাগানে চলতি আন্দোলন নিয়ে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাথ রায় বলেন, ‘‘দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে আরও জোরদার আন্দোলন করা হবে।’’ ভারতীয় চা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ মিত্র বলেন, ‘‘আন্দোলনের মাত্রা খুব বেশি নয়। তবে এ সবে আখেরে চা বাগানেরই ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।’’ লালামুখ চা বাগানের শ্রমিক নেতা রাজকুমার কৈরি ও গৌরীশঙ্কর নুনিয়া অভিযোগ করেন— বরাকের শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সমান হারে বরাকের চা শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া না হলে বৃহত্তর গণআন্দোলন করা হবে।
বন্যায় মৃত তিন। বন্যার তোড়ে ভেসে গেল তিন জন। পুলিশ জানায়, মরিগাঁও জেলার মায়াং-এ ব্রহ্মপুত্র বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। গত কাল আশীনগর গ্রামে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইসমত আলি নামে এক ব্যক্তি ভেসে যান। একই ভাবে, পাতেকিবাড়ি গ্রামে একটি সেতু পার হওয়ার সময় নায়েব আলি নামে এক গ্রামবাসী বন্যায় ভেসে যান। অন্য দিকে, পানিখাইতি এলাকায় এদিন দীপক উপাধ্যায় নামে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত কাল জলে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy