প্রতীকী ছবি। (ইনসেটে) পঞ্জাব সরকারের সেই রাখি বাম্পারের টিকিট।
ভাগ্যের চাকা কখন ঘুরবে, কেউ জানে না। যেমন জানতেন না পঞ্জাবের দিনমজুর মনোজ কুমার। কপাল জোরে রাতারাতি কপর্দক শূন্য থেকে হয়ে গেলেন কোটিপতি। লটারির বাম্পার প্রাইজ পেয়ে। তাও আবার ২০০ টাকা ধার করে টিকিট কিনে। রাখি বাম্পারের দেড় কোটির প্রথম পুরস্কার। তারপর থেকেই কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে মনোজের। এখনও যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না, সত্যি, এত টাকা পেয়েছেন তো!
সম্প্রতি পঞ্জাব সরকারের রাখি বাম্পার লটারির টিকিট বিক্রি হয় পঞ্জাবে। টিকিটের দাম ছিল ২০০ টাকা। বাম্পার প্রাইজ দেড় কোটি করে দু’টি। পঞ্জাবের সাংরুর জেলার মন্ডবি গ্রামের দিন মজুর মনোজ কুমার। তাঁর কাছে ২০০ টাকার লটারির টিকিট কেনা বিলাসিতা। তবু বাজি ধরেই ফেলেন মনোজ। এক বন্ধুর কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার নিয়ে কিনে ফেলেন একটি টিকিট।
আর লটারির ফল ঘোষণা হওয়ার পর জানা যায়, মনোজের কেনা টিকিটেই একটি বাম্পার প্রাইজ উঠেছে। মনোজ প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। তবে টিকিট মেলানোর পর আনন্দে পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয় তাঁর। পরিবারের দু’বেলা খাবার জোটাতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে দেড় কোটি টাকা কোথায় রাখবেন, কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: সিনেমা হলের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা!
তবে ঘোর কাটার পর জানিয়েছেন, ‘‘বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে টিকিট কেটেছিলাম। স্বপ্নেও ভাবিনি বাম্পার প্রাইজ পাব।’’ সঙ্গে যোগ করেন, সে দিন ধার করে লটারির টিকিট না কিনলে এই সময়টা আসত না।
আরও পডু়ন: কম্পন-এলাকায় বুলেটের ‘ভরসা’ জাপান
এত টাকা নিয়ে কী করবেন? পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় স্বজন কিংবা সংবাদ মাধ্যম, সবারই একটাই প্রশ্ন। উত্তরে কার্যত এখনও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছেন মনোজ। শুধু জানালেন, কিছু ধার-দেনা আছে, সেগুলো শোধ করতে হবে। তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে সেই বন্ধুর ২০০ টাকাও। বাকিটা? আপাতত জানা নেই মনোজের।
টিকিট নিয়ে পঞ্জাবের ‘ডিরেক্টর অব লটারিজ’ টিপিএস ফুলকার সঙ্গে তিন দিন আগেই দেখা করে এসেছেন মনোজ। ফুলকা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব লটারিতে জেতা টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy