আরজেডির মিছিল। ছবি: পিটিআই।
বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নেমে গ্রেফতার হলেন লালুপ্রসাদ। কিছু সময়ের মধ্যেই অবশ্য জামিন পেয়ে যান রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান। বন্ধে পটনা হাইকোর্টের বিচারপতির গাড়িও আটকে দেন বন্ধ সমর্থকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
জাতিগত জনগণনার তথ্য প্রকাশের দাবিতে আজ বিহার বন্ধ ডেকেছিল আরজেডি। পটনা শহরের ডাকবাংলো মোড়ে শতাধিক সমর্থক নিয়ে হাজির ছিলেন লালুপ্রসাদ। ছিলেন তাঁর দুই ছেলে তেজপ্রতাপ এবং তেজস্বীও। অভিযোগ, লালুপ্রসাদের সামনেই আরজেডি সমর্থকরা দোকানে ভাঙচুর চালান। গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাইকেল চালকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন পটনা পুলিশের কর্তারা। ঝামেলা এড়াতে শতাধিক সমর্থক এবং দুই ছেলে-সহ লালুপ্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়। পাশেই বিহার মিলিটারি পুলিশের ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকেই লালুপ্রসাদকে জামিন দেওয়া হয়। কোতোয়ালি থানা লালুপ্রসাদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে।
বন্ধে রেহাই পাননি পটনা হাইকোর্টের বিচারপতিও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন সকালে হাইকোর্ট যাচ্ছিলেন বিচারপতি রাকেশ কুমার। রাস্তায় দু’জায়গায় তাঁর গাড়ি আটকে দেন বন্ধ সমর্থকরা। আধ ঘণ্টা তর্কাতর্কির পর কোনও রকমে বন্ধ সমর্থকদের নিরস্ত করে হাইকোর্টের দিকে রওনা হন বিচারপতি। এই ঘটনায় বন্ধে সরকারের সমর্থন রয়েছে কি না জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠান বিচারপতি। মুখ্যসচিবকে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে ‘জঙ্গলরাজ’ কায়েম করতে সরকারি মদতে বন্ধ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy