মানবঢাল বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল সেনা। কিন্তু কাশ্মীরি তরুণীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় মেজর নিতিন লিতুল গগৈকে প্রাথমিক ভাবে দোষী সাব্যস্ত করল সেনার ‘কোর্ট অব এনকোয়্যারি’। এর পরে সামরিক আদালতে বিচার হবে তাঁর। মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা শুনে খুশি ‘মানবঢাল’ ফারুক আহমেদ দার।
শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মেজর গগৈ। বাদগামে বিক্ষোভকারীদের পাথরের মুখে পড়েন গগৈ ও তাঁর জওয়ানেরা। ভোটকর্মী ও জওয়ানদের রক্ষা করতে ফারুক আহমেদ দার নামে এক ব্যক্তিকে জিপের সামনে বেঁধে ঘোরান তিনি। এ জন্য সেনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করে বিরোধী দল ও বিভিন্ন শিবির। এই পদক্ষেপ সমর্থন করেননি অনেক প্রাক্তন সেনা অফিসারও। কিন্তু সেনা ও কেন্দ্র মেজর গগৈয়ের পাশে দাঁড়ায়। তাঁকে জঙ্গি দমন অভিযানে সাফল্যের জন্য পুরস্কৃতও করা হয়।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ফের বিতর্কে জড়ান মেজর গগৈ। কাশ্মীরের এক হোটেলে এক কাশ্মীরি তরুণীর সঙ্গে গিয়ে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ব্রিগেডিয়র স্তরের এক অফিসারের নেতৃত্বাধীন ‘কোর্ট অব এনক্যোয়ারি’ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ওই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় এক তরুণী গগৈয়ের চর হিসেবে কাজ করতেন। সেনার নির্দেশ না মেনে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন গগৈ। পাশাপাশি সেনা অভিযান চলছে এমন এলাকায় অনুমতি ছা়ড়াই নিজের ইউনিট পোস্ট ছে়ড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেনার নিয়ম অনুযায়ী, এর পরে সামরিক আদালত তথা কোর্ট মার্শালে মেজর গগৈয়ের বিচার হবে।
মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা শুনে খুশি ‘মানবঢাল’ ফারুক আহমেদ দার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে আমার জীবন নষ্ট করেছে তার বিচার হবে। ওই মেজর ক্ষমতার দম্ভে মত্ত ছিল। ভুলে গিয়েছিল ঈশ্বর কখন কী ভাবে বিচার করেন তা কেউ জানে না।’’ ফারুকের আক্ষেপ, ‘‘সেনার উচিত ছিল আমার কথা সহানুভূতির সঙ্গে শোনা। সে পথে না হেঁটে বলে দেওয়া হল আমি পাথর ছুড়ছিলাম। ভোট দিতে গিয়েছিলাম। এটাই আমার দোষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy