শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক বিমানবন্দরে সস্ত্রীক শি চিনফিং। ছবি: এএফপি
প্রথা ভাঙেনি আগে। কিন্তু এ বার তা ভাঙার সম্ভাবনা প্রবল। চিনের প্রেসিডেন্ট তথা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি চিনফিংয়ের সঙ্গে আলাদা ভাবে সাক্ষাতের জন্য ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতাদের কাছে ডাক আসেনি এখনও। সিপিএম সূত্রে খবর, তাতে যথেষ্ট হতাশ কমিউনিস্ট নেতারা।
সিপিএম নেতারা জানাচ্ছেন, চিনা প্রেসিডেন্ট সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তাই দু’দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতি বারই চিনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময়ে আলাদা বৈঠকের জন্য ডাক পান কমিউনিস্ট নেতারা। চিনা প্রেসিডেন্টের সরকারি সফরসূচিতে এই সাক্ষাতের উল্লেখ থাকে না। তবে যে হোটেলে তিনি থাকেন, সেখানেই কমিউনিস্ট নেতাদের ডেকে নেওয়া হয়। চিনা প্রধানমন্ত্রী এলে অবশ্য এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকে না। কারণ, চিনের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতা নন, দলের এক জন পলিটব্যুরো সদস্য। প্রোটোকল অনুযায়ী ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতাদের আমন্ত্রণ করার অধিকার নেই তাঁর।
দু’বার ভারত সফরে এসেছিলেন প্রাক্তন চিনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। তখন তাঁর সঙ্গে যথারীতি হোটেলে গিয়ে দেখা করেছিলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতারা। এখনও আমন্ত্রণ না পেয়ে কমিউনিস্ট শিবিরের ধারণা, এ বারে হয়তো আর ডাক আসবে না। চিনফিংয়ের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া ভোজের আসরে অবশ্য নিমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু হঠাৎ এ বার এই পরিবর্তন কেন? চিনফিং আসছেন কাল, নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে। দিল্লির বদলে সরাসরি যাবেন প্রধানমন্ত্রীর জন্মস্থান আমদাবাদে। কমিউনিস্ট নেতাদের দাবি, মোদী সরকার এমন ভাবে চিনফিংয়ের সফরসূচিতৈরি করেছে যাতে কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে দেখা করার সময়ই পাবেন না তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের অফিসাররা জানাচ্ছেন, সফরসূচি তৈরিতে অতিথির মতকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তবে কি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকই ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ দেখাননি? জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy