ভোটযুদ্ধ: মনোনয়ন জমা দেওয়ার পথে কানহাইয়া। সঙ্গে শেলা রশিদ, নিখোঁজ ছাত্র নজিবের মা-ও। ছবি: ফেসবুক
মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন বেগুসরাইয়ের সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে জেলা সদরে রওনা দিতেই কয়েক হাজার লোকের মিছিল জুড়ল তাঁর সঙ্গে। দীর্ঘদিন পরে বেগুসরাইয়ের রাস্তা লাল পতাকায় ঢেকে গেল। সঙ্গে উঠল স্লোগান, ‘লেকর রহেঙ্গে আজাদি’!
দলের কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়াও কানহাইয়ার সঙ্গে এ দিন হাজির ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সহসভাপতি শেলা রশিদ, সমাজকর্মী তিস্তা সেতলবাড়, গুরমেহর কৌর, জেএনইউয়ের নিখোঁজ ছাত্র নজিবের মা নাসিফার। বেগুসরাইয়ের ‘জিরো মাইল’-এ হিন্দি ভাষার অন্যতম কবি রামধারী সিংহ দিনকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে মিছিল শুরু করেন কানহাইয়ারা। তার আগে নিজের গ্রাম বিহট থেকেই মানুষের মিছিল সঙ্গে ছিল তাঁর। গোটা শহর ঘুরে শিলাবৃষ্টির মধ্যে কালেক্টরেটে পৌঁছায় সেই মিছিল।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে কানহাইয়া বলেন, ‘‘লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আদর্শের বিরুদ্ধে। সেই আদর্শের বিরুদ্ধে যা দেশের সংবিধানকে শেষ করতে চায়। সেই আদর্শের প্রতিনিধি হিসেবেই প্রতিনিধিত্ব করছেন গিরিরাজ সিংহ।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বেগুসরাইয়ের লড়াই এ বার ত্রিমুখী। বিজেপির গিরিরাজ এবং আরজেডির তনভির হাসানের বিরুদ্ধে লড়ছেন সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া। সিপিএম এবং সিপিআইএমএল তাঁকে সমর্থন করছে। বিহারে মহাজোটে নেই বাম দলগুলি। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির পাশপাশি কংগ্রেস এবং আরজেডির বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতিকে। কানহাইয়ার অভিযোগ, ‘‘রোটি, কপড়া, মকান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা না করে কতগুলি ভুয়ো বা ভেজাল বিষয়কে নির্বাচনে তুলে ধরছে বিজেপি। মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy