প্রতীকী ছবি।
বাস্তুশাস্ত্র মতে উত্তর-পূর্বের দিকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাফল্যের পর। দিল্লিতে বিজেপির নতুন ঝা-চকচকে সদর দফতরে দাঁড়িয়ে। ঠিক এক বছর আগের কথা। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নতুন দফতরটি তখন সবে উদ্বোধন হয়েছে। বিরোধীদের হিসেবে, যা তৈরি করতেই না কি খরচ হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। কিন্তু গত এক বছর এই ভবনটিই বিজেপির জন্য খুব বেশি খুশির খবর আনেনি।
বিজেপির দফতর স্থানান্তরিত হওয়ার পরেই দল গোরক্ষপুর, ফুলপুর উপনির্বাচন হেরেছে। পরে কৈরানাও। কর্নাটক বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের সকালে নতুন ভবনেই হাসির হাওয়া ছড়িয়েছিল। কিন্তু দুপুর হতেই তা ম্লান হয়ে যায়। রাহুল গাঁধীর চালে কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির হাত থেকে ফস্কে যায় রাজ্যটি। হার গোবলয়ের তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়েও।
এখন শিয়রে লোকসভা ভোট। নেতাদের জিজ্ঞাসা করলে কেউই মানছেন না। বলছেন, ‘‘তেমন কিছু নয়।’’ কিন্তু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ‘‘বাস্তুর দোষ আছে নতুন ভবনে।’’ তাই বিজেপির এখন ভরসা পুরনো দফতর। এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত। কিন্তু ১১ অশোক রোডের বাংলোটি ছাড়েনি বিজেপি। সেখানেই দলের ‘ওয়ার-রুম’।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নতুন ভবনে বৈঠক হচ্ছে। নানা রাজ্যের মানচিত্র দেওয়ালে রেখে চলছে ভোটের ছক। কিন্তু ‘ওয়ার-রুম’ পুরনো দফতরটিতেই। নিয়ম অনুসারে বাংলো ছেড়ে দেওয়ার পর সেটি সরকারের হাতে সঁপে দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি। দিল্লি পুরসভাতেও। ফলে ঠেকায় কে? পুরনো দফতরেই দিব্য এখন রোজকার ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। অমিত শাহও যাচ্ছেন নিয়ম করে।
সব দেখে কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদের কটাক্ষ, ‘‘আমি বাস্তুতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু আমার অনেক বন্ধু মানেন। ১১০০ কোটি টাকা দিয়ে বিজেপি যে এত বড় ভবন তৈরি করল, তার বাস্তু পরীক্ষা করানো দরকার।’’ ২৫ মার্চের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রচার শুরু। উত্তরপ্রদেশেই সভা হবে দু’ডজন। প্রথম দফার প্রচার মুজফ্ফরনগর, কৈরানা বা সহরাণপুর থেকে শুরু হতে পারে। তবে বিজেপির অনেক নেতার মুখে ঘুরছে, ‘‘সব যেন ভালয় ভালয় হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy