বুথফেরত সমীক্ষার পরে ফের মিমের শিকার নরেন্দ্র মোদী।
বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। আর সেই বিতর্কের কেন্দ্রে রুপোলি পর্দার প্রধানমন্ত্রী— নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকে তাঁর চরিত্রাভিনেতা বিবেক ওবেরয়।
রবিবার সন্ধ্যায় একাধিক সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে টুইটারে একটি মিম শেয়ার করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন বিবেক। মিম-এর বিষয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রেমের সম্পর্ক। মিমে দেখানো হয়েছে তিনটি ছবি। সবার উপরে সলমন খানের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক ‘ওপিনিয়ন পোল', বিবেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মাঝখানে। তার তলায় লেখা ‘এগজিট পোল’, আর স্বামী অভিষেক বচ্চন ও মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে ঐশ্বর্যের ছবিটি চিহ্নিত করা হয়েছে চূড়ান্ত ফল হিসেবে। টুইটারে এই মিম শেয়ার করেছে বিবেক লিখেছেন, ‘‘হাহা! নো পলিটিক্স হিয়ার... জাস্ট লাইফ!
এই ছবির মধ্যে অবশ্য ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাননি নেটিজেনরা। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এটি অত্যন্ত কুরুচিকর। মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশন বিবেকের জবাবদিহি চেয়ে নোটিসও পাঠিয়েছে। নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। অভিনেত্রী সোনম কপূর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ডিসগাস্টিং অ্যান্ড ক্লাসলেস।’’ এ দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী ও বিবেক নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের একটি পোস্টার উদ্বোধন করেন। কিন্তু সেই খবর চাপা পড়ে যায় মিম-বিতর্কে। ক্রমাগত সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে টুইটারে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন্ডিং ছিল #বিবেকওবেরয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিবেক যদিও পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন তিনি ভুল কিছু করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকে আমাকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। কিন্তু আমি এমন কোনও ভুল করিনি, যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। নিছক মজা করেছি। বুঝতে পারছি না কেন একটা সামান্য ঘটনাকে এত বড় করে দেখানো হচ্ছে।’’ সমালোচনা করায় সোনম কপূরকেও বিঁধেছেন বিবেক। তিনি বলেন, ‘‘আমি দশ বছর ধরে নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশে কাজ করছি। সোনম কী করেছেন? যদি আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত করতাম, তা হলে তাঁরাই সেটা বলতেন। মনে হয় না আমি সেটা করেছি।’’
ট্রেন্ডিং তালিকায় অবশ্য সোমবার সকাল থেকে প্রাধান্য ছিল ‘গেম অব থ্রোনস’এর। ২০১১-য় শুরু হওয়া বিশ্ববিখ্যাত এই টিভি সিরিজ শেষ হল এ দিনই। ভোটের মরসুমে সিরিজের একাধিক এপিসোডের সঙ্গে তুলনায় এসেছিল দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বেরোনোর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে সিরিজের নানা চরিত্রের সঙ্গে দেশের নানা রাজনৈতিক চরিত্রকে মিলিয়ে লেখা কাল্পনিক খবর। সেই কল্পনার ভিত্তি বুথফেরত সমীক্ষায় উঠে আসা সম্ভাবনা। ড্রাগন-রানি ড্যানেরিস সেখানে ‘বুয়া’, অর্থাৎ মায়াবতী। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ভাবছিলেন, উনিই সিংহাসনে বসবেন, কিন্তু এখন আর তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। ‘ভাতিজা’ অখিলেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে জন স্নো-এর, যিনি আগে রাজা ছিলেন, কিন্তু এখন সাধারণ নাগরিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ‘উত্তরের রানি’ সানসা স্টার্কের, যিনি পরদায় নিজের রাজ্য শাসন করেন কিন্তু দেশের সিংহাসনে বসে আর ধ্যানমগ্ন নরেন্দ্র মোদীর পাশে রাখা হয়েছে ধ্যানমগ্ন ব্র্যান স্টার্কের ছবি। বলা হয়েছে,
গুহায় যিনি গিয়েছিলেন, তিনিই সিংহাসনে বসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy