প্রতীকী ছবি।
এআইইউডিএফের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা প্রদেশ কংগ্রেস জোর গলায় উড়িয়ে দিচ্ছেন। অথচ সরাসরি কংগ্রেসের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে এবং মুসলিম ভোটের ভাগাভাগি রুখতে তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিপাকে ফেলে দিয়েছে বদরুদ্দিন আজমলের দল।
আজমল জানিয়েছেন, গত বারের জেতা ধুবুড়ি, করিমগঞ্জ ও বরপেটা আসন ছাড়া আর কোথাও তাঁরা লড়বেন না। নগাঁও, কলিয়াবর ও মঙ্গলদৈয়ে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আজমলরা জানিয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে ও কংগ্রেসকে সাহায্য করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে ধুবুড়িতে আজমলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ‘দুর্বল’ প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করায় দলের মধ্যেই মতান্তর দেখা দিয়েছে।
আজমলদের ঘোষণার জেরে কংগ্রেস-এআইইউডিএফ ‘আঁতাত’ প্রমাণিত বলে সরব বিজেপি। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের ক্ষোভ, আজমলের সঙ্গে জোট না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এটা জানার পরেও কয়েক জন নেতা গোপন বোঝাপড়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। এখন এআইইউডিএফের ঘোষণা দলের পক্ষে ‘শাঁখের করাত’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তাঁদের অভিমত। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কলিয়াবরে ছেলে গৌরবের বিরুদ্ধে এআইইউডিএফ প্রার্থী না দেওয়ায় আজমলের বিরুদ্ধে সব চেয়ে সরব থাকা তরুণ গগৈও মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজমল ১১টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার বিনিময়ে ধুবুড়িতে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে দুর্বল প্রার্থী দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। নাম উঠেছে আব্দুল রেজ্জাকের। বিতর্কের জেরে এখনও ধুবুড়ি, কোকরাঝাড়, বরপেটা, গুয়াহাটিতে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি দল। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে মতানৈক্যের জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা ও বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে দলের হাইকম্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy