প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
স্ত্রীর বিবাহিত বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম। অথচ প্রেমিকার আরও এক পুরুষ সঙ্গী আছে। জানার পর প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কথা বলেন যুবক। অভিযোগ, রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন করলেন বেঙ্গালুরুর যুবক। খুনের পর অভিযুক্ত যুবক হোয়াটস্অ্যাপে খুনের দায় স্বীকার করেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতার নাম দীপা পারান (২২)। অভিযুক্ত যুবকের নাম অনমোলরতন কান্ডার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপা এবং অনমোলের স্ত্রী দীপালি ছোটবেলার বন্ধু। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকলেও তাঁদের সকলের বাড়িই ওড়িশায়। দীপার স্বামী কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকেন। দীপার এক সন্তান রয়েছে। বিবাহিত দীপা অনমোলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান। সব কিছু ঠিকই চলছিল। এক দিন অনমোল জানতে পারেন, অন্য এক পুরুষের সঙ্গেও দীপার সম্পর্ক রয়েছে। এর পরই দীপার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করেন অনমোল। অভিযোগ, দীপা এর পরও তাঁর সঙ্গে জোর করে দেখা করার চেষ্টা করলে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন অনমোল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ জুন সন্ধ্যায় দীপাকে যশবন্তপুর রেলস্টেশনের কাছে একটি লজে নিয়ে যান অনমোল। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অনমোল বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন দীপাকে। ঘণ্টা খানেক পরে তিনি লজ থেকে বেরিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, এর পর একটি পানশালায় মদ্যপান করে ভোরে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে পুরো বিষয়টি জানান অনমোল। স্ত্রীকে জানান, দীপাকে বালিশ চাপা দেওয়ার সময় তিনি মত্ত ছিলেন। তাই তিনি নিশ্চিত নন যে আদৌ দীপা মারা গিয়েছেন কি না। তাই তিনি স্ত্রীকে লজে যেতে বলেন এবং নিশ্চিত হতে বলেন। দীপালি লজে পৌঁছে দীপাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তিনি স্বামীর কথামতো হোটেলের কর্মীদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করলে হোটেলের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের জেরার মুখে সত্যি কথা স্বীকার করেন দীপালি। পুলিশ তাঁকে ফোন করে অনমোলকে ডাকার নির্দেশ দেন। অনমোলের ফোন বন্ধ ছিল। এর কিছু পরে অনমোল হোয়াটস্অ্যাপে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘আমিই দীপাকে খুন করেছি’। তার পর থেকেই অনমোল ফেরার। অনমোল ছাড়া দীপার আর এক পুরুষ সঙ্গী কে ছিলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy