Advertisement
১৬ মে ২০২৪

যোজনা সংস্থায় রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব চাইলেন মানিক

অধুনালুপ্ত যোজনা কমিশনের বিকল্প ভাবনায় কেন্দ্র-রাজ্যের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি জানাল বামপন্থীরা। গত কাল এই ‘বিকল্প ভাবনা’ বিষয়ে বিশদ আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লিতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে বামপন্থীদের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আজ আগরতলায় ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যোজনা কমিশনের বিকল্প সংস্থায় আমরা রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব দাবি করেছি।” তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাজারের মর্জির উপর যে দেশের পরিকল্পনা ছেড়ে দেওয়া যাবে না, এই বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪৬
Share: Save:

অধুনালুপ্ত যোজনা কমিশনের বিকল্প ভাবনায় কেন্দ্র-রাজ্যের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি জানাল বামপন্থীরা। গত কাল এই ‘বিকল্প ভাবনা’ বিষয়ে বিশদ আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লিতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে বামপন্থীদের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আজ আগরতলায় ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যোজনা কমিশনের বিকল্প সংস্থায় আমরা রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব দাবি করেছি।” তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাজারের মর্জির উপর যে দেশের পরিকল্পনা ছেড়ে দেওয়া যাবে না, এই বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি।’’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে বামফ্রন্টের তরফে মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এক) এই বিকল্প সংস্থার মাধ্যমেই দেশের সংবিধানের চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করতে হবে। সে কারণে বিকল্প কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি, জনগণের কাছে দায়বদ্ধও করতে হবে। সংস্থার গঠন এমন ভাবে করতে হবে যাতে সেখানে কেন্দ্রের পাশাপাশি, রাজ্যেরও প্রতিনিধি রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জাতীয় উন্নয়ন পরিষদ ও আন্তঃরাজ্য পরিষদের কাছে সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। দুই) ভারতের মতো দেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বজায় রাখা জরুরি। তিন) সার্বিক ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিতে হবে নতুন সংস্থাকে। বিশ্বায়নের দোহাই দিয়ে শুধু জিডিপি বৃদ্ধির উপর জোর দিলে হবে না। সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি পূরণ করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। চার) কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের নিরিখে রাজ্যগুলির প্রয়োজনকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

মানিকবাবুর দাবি, যোজনা কমিশনের ‘বিকল্প’ হিসেবে যদি কোনও প্রতিষ্ঠান গড়েও ওঠে, তাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ‘থিংক ট্যাঙ্ক’-এর নামে কোনও কিছুই সেই প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তাঁর মতে, যোজনা বা পরিকল্পনাকে গুরুত্বহীন করার অর্থ, জাতি হিসেবে ভারতের গড়ে ওঠা ভাবনারই অবলুপ্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE