—ফাইল চিত্র।
মিশন শক্তি কী, সেই খোঁজে ভাটা পড়েছে। তাতে অবশ্য যুযুধান পক্ষেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শক্তি প্রদর্শন কমাননি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিশন শক্তি অভিযান ঘোষণার পর থেকেই টুইটার কার্যত দখল করেছিল সেই সম্পর্কিত নানা হ্যাশট্যাগ। বৃহস্পতিবার অবশ্য গুগল সার্চে মিশন শক্তির খোঁজের ঝোঁক তেমন মেলেনি। টুইটার অবশ্য ব্যতিক্রম। মিশন শক্তির কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এ দিনও দাপিয়েছে টুইটারে।
গুগল ট্রেন্ডিংয়ের হিসেব বলছে বুধবার সারা দিনে সবচেয়ে বেশি ‘সার্চ’ হওয়া ২০টি বিষয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল ‘মিশন শক্তি’ ও ‘মোদী লাইভ’। মিশন শক্তি নিয়ে সার্চ হয় সাড়ে পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। তবে আইপিএলে কেকেআর ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের খেলা ও অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের ওয়ান-ডে ছাড়িয়ে যায় মিশন শক্তিকেও। দু’টি বিষয়েই সার্চের সংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি।
টুইটারে অবশ্য অন্য ছবি। মিশন শক্তির রেশ টেনে বিজেপি সমর্থকেরা দাপিয়েছেন #ইন্ডিয়াউইথনমো অস্ত্র করে। যে কোনও বিষয়কেই টুইটারে ‘ট্রেন্ডিং’ করিয়ে দেওয়া যায়, জানাচ্ছেন ভুয়ো-খবর ধরায় বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক প্রতীক সিন্হা। তাঁর কথায়, ‘‘গুগলে কেউ কোনও বিষয় বিশদে জানতে তা খোঁজেন, বা ‘সার্চ’ করেন। কিন্তু টুইটারে কোনও পক্ষ চাইলে তাদের সমর্থনে প্রচুর টুইট করে তাকে ‘ট্রেন্ডিং’ করে দিতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, সেই বিষয় নিয়েই সে দিন সবার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা না-ও হতে পারে। হয়তো পুরো ব্যাপারটাই নির্মিত, একেবারে নিখাদ নয়।’’
রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন নির্মিত জনমত তৈরির প্রবণতা বেশি বলে জানাচ্ছেন প্রতীক। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও ছবি মুক্তির দিনে সেই ছবির বিষয় ট্রেন্ডিং হয়ে যায়। রাজনৈতিক দলের আইটি সেলের তো এটাই কাজ।’’
প্রচারের হাওয়া যে শুধু শাসক পক্ষ তোলে, তা নয়, বিরোধীরাও অস্ত্র করে একই হাতিয়ার। বৃহস্পতিবারই যেমন #ইন্ডিয়াউইথনমো-র পাল্টা বিরোধীরা হাতিয়ার করেছিল #মোদীস্ক্যামসেঞ্চুরি।
তবে এই ‘জল মেশানোর’ দায় কোনও রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনও সংস্থাকে দিতে নারাজ প্রতীক। তিনি বলেন, ‘‘আসলে মানুষ যা চাইছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটাই প্রতিফলিত হওয়া উচিত। কিন্তু টুইটারে সেই ফাঁক রয়েছে, আর তারই সুযোগ নিচ্ছে সবাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy