মহম্মদ আজ়ম
মৃত্যুর খবর মানতে পারছেন না মহম্মদ ওসমান। ছেলেধরা সন্দেহে খুন হয়ে যাওয়া মহম্মদ আজ়মের হত্যাকারীদের কড়া শাস্তি চান তিনি। পেশায় রেলকর্মী এই প্রৌঢ় বলেছেন, ‘‘খুনিদের বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মারছিল, তাদের কাছে বার বার প্রাণভিক্ষা চেয়েছে ও। এমনকি বোঝানোর চেষ্টাও করেছে। কিন্তু ওরা খুন করতেই এসেছিল। কোনও কথায় কান দেয়নি।’’ শুক্রবার কর্নাটকের বিদারের মুরকি গ্রামে আজ়মকে পিটিয়ে খুন করে এক দল গ্রামবাসী। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় ছেলেধরা ঢুকেছে বলে গুজব ছড়িয়েছিল। এই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে আজ়মের পরিবার।
কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আজ়মের। দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে তাঁর। হায়দরাবাদে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। আজ়মের দুই ভাই, এক বোন ও শ্বশুর-শাশুড়িও থাকেন তাঁদের সঙ্গে। শুক্রবারের পর থেকে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। আজ়মের ভাই মহম্মদ আক্রমের কথায়, ‘‘ভাই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ছিল। ওকে দেখে কোনও ভাবেই ছেলেধরা বলে মনে হয় না। শুধু গুজবের শিকার হয়ে প্রাণ গেল ওর।’’ আজ়মের এক ভাই রশিদ জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই স্থানীয় বস্তিতে গিয়ে বাচ্চাদের খাবার-দাবার বিলি করতেন ওই যুবক। ‘‘ও কোনও বাচ্চার ক্ষতি করতেই পারে না। ওর নিজেরই একটা ছোট ছেলে রয়েছে। ওর বাচ্চাটা বাবাকে না দেখতে পেয়ে কাঁদছে’’, বলছেন রশিদ।
শুক্রবারের এই ঘটনায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বিদার পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছে না আজ়মের পরিবার। আক্রম বলেছেন, ‘‘ভাই বার বার ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করছিল। কিন্তু কেউ ওকে বিশ্বাস করেনি। পুলিশও না। পুলিশ দাবি করছে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ওখানে তো ছিল ১০০ জনেরও বেশি। বাকিদের কী হল? আমরা পুলিশের কথায় আর ভরসা করতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy