Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
National News

বৌমা মেগানের জন্য শাড়ি পাঠাচ্ছেন ডাব্বাওয়ালারা

বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা। তাই বিয়ের দিন মুম্বই জুড়ে মিষ্টিমুখ করাবেন ডাব্বাওয়ালারা। মিষ্টি দেওয়া হবে টাটা ক্যানসার-সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়দের, যাঁরা দিনের পর দিন হাসপাতালে এসে পড়ে থাকেন প্রিয়জনের জন্য।

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০৪:৪২
Share: Save:

বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা। তাই বিয়ের দিন মুম্বই জুড়ে মিষ্টিমুখ করাবেন ডাব্বাওয়ালারা। মিষ্টি দেওয়া হবে টাটা ক্যানসার-সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়দের, যাঁরা দিনের পর দিন হাসপাতালে এসে পড়ে থাকেন প্রিয়জনের জন্য।

‘মুলগা’ (মরাঠিতে ছেলে) প্রিন্স হ্যারি এবং স্নেহের ‘সুন’ (বৌমা) মেগান মার্কলের বিয়ে ১৯ মে। বিলেতে সেই বিয়েতে নিমন্ত্রণ না পেলেও খুশিতে মাতোয়ারা ডাব্বাওয়ালারা। তাঁদের সংগঠনের মুখপাত্র সুভাষ তালেকর মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আমরা হ্যারির জন্য মরাঠি বরের পোশাক পাজামা-কুর্তা আর গেরুয়া পাগড়ি কিনেছি, মেগান বৌমার জন্য কেনা হয়েছে সবুজ রঙের পৈথানি শাড়ি। ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এগুলো আমরা বাকিংহাম প্যালেসে ক্যুরিয়ার করব। একই রকম পোশাক হ্যারির বাবা— আমাদের চার্লস আর ক্যামিলা-র বিয়ের আগেও ক্যুরিয়ার করেছিলাম। বছর দু’য়েক আগে উইলিয়াম আর কেট বৌমা যখন মুম্বই এলেন, তখনও আমরা ১২ জন ডাব্বাওয়ালা দাদার থেকে ওঁদের জন্য পোশাক কিনে পাঠিয়েছিলাম।’’

সংগঠনের সভাপতি উল্লাস শান্তারাম জানালেন, ২০০৩ সালে রাজপরিবারের সঙ্গে তাঁদের বন্ধন শুরু হয়েছিল প্রিন্স চার্লসের হাত ধরে। মুম্বইয়ে এসে ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছিলেন তিনি। ‘‘একশো বছর ধরে আমরা মুম্বইয়ে কাজ করছিলাম। কেউ আমাদের গুরুত্ব দিতেন না। চার্লস যখনই ডেকে কথা বললেন, গোটা পৃথিবী আমাদের ‘ম্যানেজমেন্ট গুরু’ বলে স্বীকৃতি দিল। দিন বদলে গেল। ২০০৫ সালে চার্লস ‘ভাই’য়ের সঙ্গে ক্যামিলা ‘ভাবি’র বিয়েতে আমাদের এখান থেকে দু’জন ডাব্বাওয়ালা আমন্ত্রিতও ছিলেন!’’

সেই স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে ডাব্বাওয়ালা সোপান মারে আর রঘুনাথ মেডকে-র মনে। পুণের কাছে একটি গ্রাম থেকে সোপান ফোনে বললেন, ‘‘বিয়ের দিন ডাব্বাওয়ালাদের নিজস্ব সাদা পোশাক আর টুপি-ই পরেছিলাম আমরা। চার দিন ছিলাম লন্ডনে। খুব খাতির করেছিলেন ওঁরা। পাঁচতারা হোটেলে ছিলাম। গাড়িতে যাতায়াত করতাম। রানি নিজে এসে আমাদের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন আর বলেছিলেন, আমাদের দেওয়া পোশাক ওঁদের খুব পছন্দ হয়েছে।’’

গত আড়াই বছর মুম্বইয়ে ‘রোটি ব্যাঙ্ক’ চালান ডাব্বাওয়ালারা, বিভিন্ন রেস্তরাঁ, হোটেল ও পার্টির বাড়তি খাবার গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। হ্যারি-মেগানের বিয়ের দিন সেই দরিদ্রদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন করবেন তাঁরা। না-ই বা পেলেন এ বার বিয়েতে আমন্ত্রণ, বিয়ের দিন ডাব্বাওয়ালাদের মন পড়ে থাকবে রাজপ্রাসাদে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE