ফাইল চিত্র।
আগাগোড়া অরাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক ব্রহ্মকুমারী সংগঠনের অনুষ্ঠানেও নিজের কৃতিত্ব জাহির এবং বিরোধীদের নিশানা করতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, তাঁর সরকার দেশে এমন একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে যেখানে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই। উঠে আসছে এমন এক ভারত, যার ভাবনা-চিন্তা অভিনব আর সিদ্ধান্ত প্রগতিশীল। আবার পাশাপাশি কিছু মানুষ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করেই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এঁদের এই উদ্যোগ এতটাই বিস্তৃত যে একে আর চাপা দিয়ে রাখা যাচ্ছে না।”
ব্রহ্মকুমারীদের সংগঠন ‘আজাদি কে অমৃত মহোৎসব সে স্বর্ণিম ভারত কে ওর’ নামে দেশের নানা জায়গায় ১৫,০০০ অনুষ্ঠান করবে। তারই ভার্চুয়াল সূচনা বক্তৃতায় তাঁদের সেই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আধ্যাত্মিক চেতনা এর ফলে উন্নত হবে। মোদী বলেন, “স্বাধীনতা পাওয়ার পরবর্তী ৭৫ বছরে দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজের অধিকার আদায়ে যত উদ্যম দেখিয়েছেন, কর্তব্যটা সে ভাবে পালন করেননি। এই খারাপ প্রবণতা আমাদের সমাজে প্রতিফলিত হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, “পরবর্তী ২৫ বছরে সমাজ গঠনে আমাদের অগ্রণী হতে হবে। প্রত্যেককে দেশবাসীর হৃদয়ে একটি করে প্রদীপশিখা জ্বালতে হবে। সেই শিখা ভারতের সনাতন ঐতিহ্য ও চিরন্তন সংস্কৃতির আলো দেবে।”
তাঁর সরকার এই কাজে নিয়োজিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন— আর এক দল মানুষের কাজ কেবল বিশ্বের কাছে ভারতের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করা। এই ব্যাপারটা তিনি
বলতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ তাদের এই প্রয়াসকে আর চাপা দিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এই মন্তব্যে মোদী যে তাঁর সরকারের বিরোধী ও সমালোচনাকারীদের নিশানা করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy