অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নরেন্দ্র মোদীর। ছবি: পিটিআই।
সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলায় তিনি তখন গুজরাত-ছাড়া। দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যসভার দলনেতা অরুণ জেটলি। আইনি পরামর্শের পাশাপাশি দিনের পর দিন মানসিক ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জেটলি। আজ জেটলির স্মরণসভায় সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানালেন, ‘‘কঠিন সময়ে দিল্লি এসেছিলাম। সে সময়ে জেটলিজি কার্যত বড় দাদার মতো পাশে দাঁড়ানোয় মনে হয়নি যে ঘর ছেড়ে এসেছি।’’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে জেটলি আবার যতটা বন্ধু, ততটাই ছিলেন ছোট ভাই। প্রধানমন্ত্রীর কথায় ‘ছোটা দোস্ত’। সেই বন্ধুর স্মরণসভায় বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন মোদী। বলেন, ‘‘কখনও ভাবিনি জীবনে এমন দিন আসবে ছোটা দোস্তকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে হবে।’’ তাঁর আক্ষেপ, বিদেশে থাকায় তিনি বন্ধুর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ওই আক্ষেপ থেকে যাবে। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা জেটলির সঙ্গে প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছরের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘শব্দের ব্যবহারে তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। নানাবিধ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন আমার বন্ধু। খেতে ভালবাসতেন। তেমনই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও অসম্ভব ভাল সম্পর্ক ছিল জেটলির।’’ নিজের চেয়ে ছোট কারও স্মৃতিসভায় উপস্থিত থাকার মতো যন্ত্রণার কিছু হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিরোধী থেকে শরিক সকলেরই কাছে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে জুড়ি মেলা ভার ছিল জেটলির। তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী থেকে ডিএমকের তিরুচি শিবা-সকলেরই মুশকিল আসান ছিলেন জেটলি। তাই অমিত শাহ তো বলেই বসেন, ‘‘দলীয় নির্দেশের তোয়াক্কা না করে, দলের লাইন উপেক্ষা করে দলনির্বিশেষে বন্ধুত্ব করতেন জেটলি। বয়সে বড়, সমবয়সী, এমনকি দলের কম বয়সী নেতাদের বন্ধু বানানোর কৌশল তাঁর জানা ছিল।’’ আদালতে সঙ্গী আর রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সংসদে বিরোধী জেটলির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আর এক প্রাক্তন সতীর্থ রাজনাথ সিংহের কথায়, ‘‘নব্বইয়ের দশকে বিজেপি সম্পর্কে শহুরে বিশিষ্ট জনেদের স্পষ্ট ধারণা ছিল না। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অরুণ জেটলিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy