—ফাইল চিত্র।
২০১৫ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন আগামী হাজার দিনের মধ্যে দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল। টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, তাঁর সরকার কথা রেখেছে। ২৮ এপ্রিল এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, শনিবার মধ্য মণিপুরের সেনাপাতি জেলার একটি গ্রামে বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হয়েছে দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
কী ভাবে বলা সম্ভব কোনও গ্রামে বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পূর্ণ? এ বিষয়ে সরকারি তিনটি মাপকাঠি ধার্য করা আছে। এক, ওই গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবার নূন্যতম পরিকাঠামো থাকতে হবে। দুই, সেখানকার অন্তত দশ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকবে। এবং তিন, ওই গ্রামের স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো সরকারি ক্ষেত্রগুলিতে বিদ্যুত্ পরিষেবা থাকবে। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই তিনটি শর্তই পূরণ করা হয়েছে দেশের সব গ্রামে।
28th April 2018 will be remembered as a historic day in the development journey of India. Yesterday, we fulfilled a commitment due to which the lives of several Indians will be transformed forever! I am delighted that every single village of India now has access to electricity.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 29, 2018
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল মোদী সরকার। একই সঙ্গে গরিবদের ঘরে নিখরচায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। সেই মতো বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা বা ‘সৌভাগ্য’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। প্রথমে সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ২০১৮-র ১ মে। পরে তা বাড়িয়ে ২০১৮-র ডিসেম্বর করা হয়। আর, সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন (২৪ ঘণ্টা x ৭ দিন) বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সময় ধরা হয়েছে ২০১৯-এর মার্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy