সর্বোচ্চ: পিছনে বল্লভভাই পটেলের মূর্তি, সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার গুজরাতের নর্মদা জেলায় ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরে এই ছবি টুইট করল প্রধানমন্ত্রীরই দফতর।
বায়ুসেনার বিমান থেকে ফেলা হল ফুল। সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তির বিশাল পায়ের নীচে ত্রিশটি নদী থেকে আনা জল অর্পণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই লিফটে চেপে অমিত শাহকে নিয়ে পৌঁছে গেলেন পটেলের মূর্তির বুকের কাছে। সেখান থেকে ঘুলঘুলি দিয়ে দেখলেন নর্মদা।
আর সেই সময়েই প্রায় গোটা নর্মদা জেলায় বন্ধের পরিবেশ। মোদীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আদিবাসীরা। কালো বেলুন উড়ছে আকাশে। আগুন হাইওয়েতে। পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মোদী মজে রইলেন পটেলে।
আজই ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুদিন। শক্তিস্থল, ১ আকবর রোডে হাজির ছিলেন রাহুল-সনিয়া গাঁধী-মনমোহন সিংহেরা। কিন্তু বিজেপি পটেল-বন্দনায় ম্লান করতে চাইল ইন্দিরাকে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাহুল কিন্তু মোদীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘‘অন্তর থেকে কংগ্রেসি সর্দার পটেল স্বাধীন, অখণ্ড ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের জন্য লড়েছিলেন। ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা বরদাস্ত করতেন না। আজ সব চেয়ে উঁচু মূর্তির উদ্বোধন হল। কিন্তু পটেলের তৈরি সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করা হচ্ছে। এটি বিশ্বাসঘাতকতা।’’ এর জবাব আগেই দিয়েছিলেন মোদী। রাহুলের নাম না করেই তাঁকে ‘শিবভক্ত’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পটেল না থাকলে সোমনাথ মন্দিরে যেতেও শিবভক্তদের ভিসা লাগত।’’ এর পরেই বলেন, ‘‘কিছু লোক এই প্রচেষ্টাকে রাজনীতির চশমায় দেখার দুঃসাহস করে। পটেলের মতো মহাপুরুষের প্রশংসা করলেও সমালোচনা হয়!’’
আরও পড়ুন: ‘গাঁধীজির চশমা চুরি করেছেন, এখন জহরকোটকে নিজের জ্যাকেট বলে চালাচ্ছেন মোদী!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy