নরেন্দ্র মোদী এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।
নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতি নিয়ে সমালোচনা যতই থাক, দেখনদার কূটনীতিতে তিনি যে সবার চেয়ে এগিয়ে, সেটা মানেন প্রায় সকলেই। চলতি সপ্তাহান্তে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ভারত সফরে আসছেন। সূত্রের খবর, এ বার বারাণসীর গঙ্গাবক্ষে তাঁর সঙ্গে নৌকাভ্রমণ করতে চলেছেন মোদী।
তিন বছর আগে মোদী যখন ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন, তখন সিন নদীতে নৌকাবিহার করেছিলেন। এ বারে মাকরঁ-র সফরে তারই প্রতিদান দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কূটনীতিতে কোণঠাসা ভারতের কাছে ফ্রান্স এই মুহূর্তে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাকরঁ যে সময়ে আসছেন, তখন সৌরশক্তির আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে দিল্লিতে। ফ্রান্সের সঙ্গে ছ’টি পরমাণু চুল্লি নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা।
সেই সঙ্গে ফ্রান্সের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার রাস্তা খুলতে চলেছে দিল্লি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে প্রতিহত করতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে চর্তুদেশীয় অক্ষ গড়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, এ ক্ষেত্রে অধিকন্তু ন দোষায়। চর্তুদেশীয় অক্ষে আরও একটি সংযোজন না ঘটিয়ে, সমান্তরাল ভাবে ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় করতে চায় ভারত। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, মাকরঁ-র সফরে ভারত মহাসাগরের কিছু ফরাসি দ্বীপে নয়াদিল্লি সামরিক ঘাঁটি তৈরির অধিকার পাবে। ভারত মহাসাগরে দশটির বেশি দ্বীপ রয়েছে ফ্রান্সের। দিল্লিতে ফরাসি রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জেইগলঁ জানান, ‘ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার কাঠামো তৈরি করতে আমরা আগ্রহী।’’ ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণ সদস্যপদ পেতেও চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রান্স। সাউথ ব্লকের সহযোগিতা চাইবে প্যারিস। সৌরশক্তি সম্মেলন উপলক্ষে কাল আসছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy