Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
Supreme Court

মুসলমান মেয়েদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স হোক ১৮, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জাতীয় মহিলা কমিশনের

জাতীয় মহিলা কমিশনের যুক্তি, ‘‘যে মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছে, সে হয়তো জৈবিক ভাবে প্রজনন করতে সক্ষম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট মেয়েটি মানসিক ভাবে যথেষ্ট পরিপক্ব।’’

এ দেশে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। এখন মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের বয়স এক করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে।

এ দেশে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। এখন মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের বয়স এক করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬
Share: Save:

অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো দেশের মুসলমান মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স হোক ১৮। এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল জাতীয় মহিলা কমিশন। শুক্রবার এই মামলাটি গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়ে একটি নোটিস পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ।

জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে ওই মামলাটি করেছেন আইনজীবী গীতা লুথেরা, আইনজীবী শিবানী লুথেরা লোহিয়া এবং অস্মিতা নারুলা। হলফনামায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা জানান, এই জনস্বার্থ মামলাটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগের জন্য দায়ের করা হয়েছে। যাতে অন্যান্য ধর্মের জন্য প্রযোজ্য শাস্তিমূলক আইনের সঙ্গে ‘ইসলামিক পার্সোনাল ল’র সাযুজ্য রাখা যায়।

প্রসঙ্গত, এ দেশে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। এখন মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের বয়স এক করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। গঠিত হয়েছে সংসদীয় কমিটি। তবে মুসলিমদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স আলাদা। কোনও মুসলিম মেয়ে ঋতুমতী হলে কিংবা বয়স ১৫ বছর পেরোলেই তাকে বিবাহযোগ্য মনে করা হয়। ওই হলফনামায় এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘যে মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছে, সে হয়তো জৈবিক ভাবে প্রজনন করতে সক্ষম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট মেয়েটি মানসিক ভাবে যথেষ্ট পরিপক্ব এবং বিয়ে করার জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত।’’

তা ছাড়াও কমিশনের যুক্তি, এই রকম ‘অপরিণত’ বয়সের মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। তার পর বিয়ের পর স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা শারীরিক বা মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হলে বৈধতার যুক্তি দেওয়া হয়। এমনকি, তখন পকসো আইনেও মামলা করার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় অভিযোগকারিণী বা তার পরিবারকে।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE